| সকাল ৬:৩৫ - বুধবার - ২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে আলোচিত স্কুলছাত্র আরাফাত হত্যা মামলার রায় ২৯ মার্চ

 

শেরপুর প্রতিনিধি:২০ মার্চ ২০১৬, রবিবার,
শেরপুরে আলোচিত স্কুলছাত্র আরাফাত ইসলাম ওরফে রাহাত (৮) হত্যা মামলার রায় আগামী ২৯ মার্চ। আজ ২০ মার্চ রোববার বিকেলে রাষ্ট্র ও আসামিপৰে যুক্তিতর্কশেষে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান রায়ের এ দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের পিপি গোলাম কিবরিয়া রায়ের দিন ধার্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার দিনভর আদালতে রাষ্ট্র ও আসামি পৰের আইনজীবীরা মামলার যুক্তিতর্ক উপস’াপন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপৰের কৌঁসুলি (পিপি) মো. গোলাম কিবরিয়া আদালতকে বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিষ্পাপ শিশু আরাফাতকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ ও পরে গারো পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। আসামিদের বির্বদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭, ৮ ও ৩০ ধারা এবং বাংলাদেশ দন্ড বিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপৰ সন্দেহাতীতভাবে এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে সৰম হয়েছে। তাই তিনি (পিপি) এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের জন্য আদালতের নিকট আবেদন জানান।
অপরদিকে আসামিপৰের আইনজীবী আব্দুস সোবাহান তরফদার আদালতকে বলেন, এ মামলায় কোন চাক্ষুস সাক্ষী নেই। রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য অনুমান নির্ভর। তাই তিনি (আইনজীবী সোবাহান) আদালতের নিকট মামলা থেকে আসামিদের খালাস প্রার্থনা করেন।
আজ ২০ মার্চ রোববার যুক্তিতর্ক শুনানিকালে মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি আদালতে উপসি’ত ছিলেন। এঁরা হলেন শেরপুর সদর উপজেলার বয়ড়াপরাণপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ (২১) ও একই গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া (২০), জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ফুলকারচর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. আসলাম বাবু (২২) এবং নালিতাবাড়ীর নন্নী পশ্চিমপাড়া গ্রামের নজর্বল ইসলামের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২১)। বর্তমানে তাঁরা জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
উলেৱখ্য, গত ২ আগস্ট বিকেলে শেরপুর জেলা শহরের শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক এলাকা থেকে অভিযুক্ত চার যুবক মুক্তিপণের দাবিতে আরাফাত ইসলাম ওরফে রাহাতকে অপহরণ করে নিয়ে যান। কিন’ মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আরাফাতের খালু লতিফের পরামর্শ অনুযায়ী অপহরণকারী আসলাম ওইদিনই তাকে (আরাফাত) শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে তার লাশ গারো পাহাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পরে গত ৮ আগস্ট গারো পাহাড়ের সীমান্তঘেঁষা বুর্বঙ্গা পাহাড়ের চূড়া থেকে পুলিশ আরাফাতের গলিত লাশ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উদ্ধার করে। আরাফাত শহরের বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং গৃদানারায়ণপুর এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে ছিল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | মার্চ ২০, ২০১৬