| সকাল ৬:৪৫ - শনিবার - ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অনুদান প্রদানে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

 ঢাকা, ১৩ মার্চ ২০১৬ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাস্তায় ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপ কমানোর জন্য সমাজের বিত্তবান শ্রেণী এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুদান হিসেবে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বাস অনুদান দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যার সমাধান হবে তেমনি রাস্তার যানজটও কমে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবহার বাড়ালে ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহারের পরিমাণ অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। এতে করে রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমবে এবং রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য শহরেও যানজট কমে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ স্কুল ও কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক আব্দুর রউফ স্কুল ও কলেজ কতৃর্পক্ষের কাছে ৭টি নতুন বাসের চাবি হস্তান্তরকালে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় একটি বাসে উঠে এর বিভিন্ন বিষয় ও গুণগত মান পর্যবেক্ষণ করেন।
স্কুল দুটির অধ্যক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নতুন বাসের চাবি গ্রহণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আমাদানীকৃত বাসগুলোর গুণগত মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণগত মান সম্পন্ন বাস আমদানির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে করে মানুষের ভ্রমণটা আরো আরমদায়ক হয়।
প্রধানমনন্ত্রী এ সময় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি সেভাবেই সবসময় আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের মেয়াদে দেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রভূত উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকারের বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান ১৪ হাজার ৬শ মেগাওয়াট।
পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে আমরা ’ট্রান্সবাউন্ডারী ইলেকট্রিসিটি’ সিস্টেম করেছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, স্বরাষ্ট্র সচিব ড.মোজাম্মেল হক খান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ খান, নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নিটোল নিলয় গ্রুপ এই ৭টি বাস অনুদান হিসেবে প্রদান করে। এর প্রতিটির আসন সংখ্যা ৩৫টি। যার ৪টি বাস বিজিবি পরিচালিত বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ স্কুল ও কলেজকে এবং ৩টি বিজিবি পরিচালিত অপর প্রতিষ্ঠান বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক আব্দুর রউফ স্কুল ও কলেজকে প্রদান করা হয়।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী একটি ’ফোর ডি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন’ গাজীপুর জেলার কাশিমপুরে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালকে প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়তুন বিনতে সোলাইমানের কাছে এই মেশিন হস্তান্তর করেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেসার নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পিপিপি’র ভিত্তিতে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় একর জমিতে এই হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করে।
মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই অত্যাধুনিক হাসপাতালে দরিদ্র রোগীদের বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৪৪ অপরাহ্ণ | মার্চ ১৩, ২০১৬