নেত্রকোনায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
নেত্রকোনা প্রতিনিধি ঃ ১০ মার্চ ২০১৬, বৃহস্পতিবার,
নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গৃহ কর্মীকে (কাজের মেয়ে মোছাঃ পাখি আক্তার) ধর্ষণের অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ কনস্টেবল তানভীর আহমেদের (কনস্টেবল নং ১০২১) নামে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে এই মামলা নং ২১১/২০১৬ দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, নেত্রকোনা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল তানভীর আহমেদ স্ত্রী জান্নাতুলকে নিয়ে জেলা শহরের কাইলাটী এলাকায় নতুন জেলখানা রোডে জনৈক ব্যক্তির বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তানভীরের স্ত্রীও পুলিশের কনস্টেবল। তিনি নেত্রকোনা আদালতে কর্মরত। চলতি মাসের প্রথম দিকে কাজের মেয়ে হিসেবে ভিকটিম কাজে যোগ দেয়। কাজে যোগ দেয়ার শুরু থেকেই তানভীর ওই গৃহকর্মীকে উত্যক্ত করত এবং তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাত। গত ৩ ফেব্রুয়ারী স্ত্রী কর্মস’লে চলে গেলে গৃহকর্মীকে দরজা আটকিয়ে ধর্ষণ করে এবং বাসায় আটকে রাখে। ভিকটিম মোবাইলে বিষয়টি তার বাবা মাকে জানায়। তাকে নেয়ার জন্য এলে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে এবং বললে ক্রস ফায়ারে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালে গৃহকর্মী নিজেই বাদী হয়ে কনস্টেবল তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। বিজ্ঞ বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাসেম বিষয়টি আমলে নিয়ে নেত্রকোনা ডিবি পুলিশকে তদনে-র জন্য নির্দেশ দেন।
নেত্রকোনা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনোরঞ্জন সরকার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদী ও তার পরিবার হতদরিদ্র। বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে এনে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে ওই পুলিশ কনস্টেবল।
নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রামানিক জানান, পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। আদালত থেকে ডিবিকে তদনে-র দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।