| সন্ধ্যা ৭:৩৩ - মঙ্গলবার - ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ফুলবাড়ীয়ায় শ্মশানঘাট বন্ধের উপক্রম ঃ সমাধানের আশ্বাস উপজেলা চেয়ারম্যানের

 

আ. জব্বার, ফুলবাড়ীয়া ঃ | ৯ মার্চ ২০১৬, বুধবার,

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ২নং পুটিজানা ইউনিয়ন সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে বেশ পরিচিত। অত্র এলাকার ৪/৫হাজার হিন্দুর জন্য রয়েছে একটি মাত্র শ্মশানঘাট। যা পুটিজানা ইউনিয়নের বানার নদীর তীর ঘেঁষে হাটকালী বাজার চৌহান বাড়ীর দৰিণ পার্শ্বে ‘কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান’ নামে পরিচিত। প্রায় অর্ধশত বছর আগের এ শ্মশানটি স’ানীয় একটি হিন্দু পরিবারের অসহযোগিতার জন্য প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
স’ানীয়দের ভাষ্য মতে, আমাদের বাপ-দাদাদের শ্মশানটি ব্যবহার করতে দেখেছি, পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার ৰমতা থাকাকালীন মরহুম আমির্বল হীরা এমপি সাহেব সৎকার করার জায়গাটি সংস্কার করে একটি চুলা করে দেন। হঠাৎ শ্মশানঘাটের জমিদাতা কানাই চন্দ্র চৌহান মারা যাওয়ায় তার উত্তরসুরী (ছেলেরা) নাদুয়া চৌহান শ্মশানঘাটের প্রতি অনিহা প্রকাশ করে। ফলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা পুটিজানায় সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে চাপা ৰোভ দানা বাধতে থাকে। এ নিয়ে স’ানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন’ কোন প্রকার সুরাহা না পাওয়ায় হিন্দু পরিবার বিপাকে পড়লে তাদের চাচাতো ভাই নাজিরা চৌহানের ছেলে শুভলাল চৌহান এগিয়ে আসেন এবং তিনি ২শতাংশ জমি শ্মশানঘাটের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। কিন’ সেটিও ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছে স’ানীয় প্রভাবশালী হিন্দু পরিবার। ঐ এলাকার হিন্দু পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বাঁধা শুধু (কানন চৌহান, গোপাল চৌহান, নাদুয়া চৌহান) পরিবার।
৬২বছর বয়সী জিতিশ চন্দ্র পাল জানান, জন্মের আগে থেকেই এখানে শেষ ঠিকানা (শ্মশানঘাট) দেখে আসছি।
কেন্দ্রীয় মহা শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন চন্দ্র পাল জানান, ৪/৫হাজার হিন্দু পরিবারের জন্য আমাদের একটিমাত্র শ্মশানঘাট- এটি আমাদের জাত ভাইদের বাধার জন্য অনিশ্চিয়তায় পড়েছি।
স’ানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানিয়েছেন, আলোচনা করে সমঝোতা করে ব্যর্থ হয়েছি- তারা কারও কথা শুনে না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আজিজুর রহমান বলেন, আমি ভূমি অফিসে খবর নিয়ে দেখি, খাস জমির কি অবস’া, যদি না হয় তাহলে ব্যক্তির কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে জমি ক্রয় করে রাস্তার ব্যবস’া করে দিব, তারপরও যদি তাতে সাড়া না পাওয়া যায় তাহলে আইনের মাধ্যমে জমি একুয়ার করে শ্মশানঘাটের রাস্তার ব্যবস’া করে দিব। #

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৩৭ অপরাহ্ণ | মার্চ ০৯, ২০১৬