বেতন-ভাতার দাবীতে সিবিএমসিবি হাসপাতাল ৩ দিন ধরে অচল: তালা দিয়ে কর্মবিরতি, হাসপাতাল রোগী শূন্য
স্টাফ রিপোর্টার | ১ মার্চ ২০১৬, মঙ্গলবার,
ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে গত ৩ দিন ধরে কর্মবিরতির ফলে ময়মনসিংহ শহরতলী উইনারপাড়ে কমিউনিটি হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ পরিচালিত ৬’শ শয্যার কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি) অচল হয়ে পড়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ, চেয়ারম্যান ও পরিচালকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তারা অবস্থান ধর্মঘট, সভা সমাবেশ ও মিছিল করে মঙ্গলবার দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে বলে আন্দোলরতরা জানায়। মঙ্গলবার হাসাপাতালের ভেতরে অধিকাংশ বেড খালি দেখা যায়। আউটডোরের চিকিৎসা কর্যক্রম বন্ধ রয়েছে তিন ধরে। তবে বিশেষ ব্যবস’ায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। অপরদিকে কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বহু রোগী অন্যত্র চলে গেছে।
ময়মনসিংহ শহরতলী উইনারপাড়ে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আন্দোলনরত ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, ৭ম পে-স্কেলের ধারাবাহিকতায় সরকার ঘোষিত ৮ম বেতন স্কেলের সাথে সমন্বয় করে বেতন-ভাতার দাবীতে ২৮ ফেব্র্বয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পাল করে আসছে। তারা আরো জানান, যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরেদের কোনো পেনশন নেই, তাই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী সরকারী বেতন ভাতার সাথে মিল রেখে আরো অতিরিক্ত ৩০শতাংশ বর্ধিত ভাতা দেয়া হতো। কিন’ সরকার ৮ম বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করলেও সিবিএমসিবি কর্তৃপৰ তা বাস্তবায়ন করছে না। কর্তৃপক্ষকে দাবী আদায়ের জন্য লিখিত আবেদন ও আল্টিমেটাম দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে যেতে হলো।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মির্জা হামিদুল হক জানান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হয়েও আমরা সরকারী বেতন স্কেলের চেয়ে আরো বেশী বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান করে আসছি। ৮ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করার পর কমিউনিটি হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুসারে বেতন-ভাতাদি দেয়ার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও হচ্ছে। তিনি কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে অবিলম্বে কর্মে যোগ দেয়ার জন্য সংশিৱষ্টদের প্রতি অধ্যৰ আহবান জানিয়েছেন।