| সন্ধ্যা ৭:১৮ - রবিবার - ২১শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ নার্সিং ও ধাত্রী পরিষদ আইনের খসড়া অনুমোদিত

 ঢাকা, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ (বাসস) : মন্ত্রিসভা বৈঠকে নার্সিং, ধাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট পেশায় ডিগ্রিধারীদের রেজিষ্ট্রেশন প্রদানের লক্ষ্যে একটি কাউন্সিল গঠনের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ নার্সিং ও ধাত্রী পরিষদ আইন-২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, পদাধিকার বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদ গঠিত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) মতো বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড ধাত্রী পরিষদ নার্সিং ধাত্রী পেশাজীবীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতার স্বীকৃতি দিবে। প্রস্তাবিত আইনটি বাংলাদেশ নার্সিং অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩ এর স্থলাভিষিক্ত হবে। তিনি আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনের খসড়াটি ‘আরো সম্প্রসারিত আকারে’ এবং বাংলায় অনুবাদ করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর আগে সুপ্রীম কোর্ট সামরিক শাসনকালে জারিকৃত সকল অধ্যাদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছে।
খসড়া আইনটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলম বলেন, কোন ব্যক্তি দেশী-বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নার্সিং এর ওপর অর্জিত নার্সিং ডিপ্লোমা ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রীর মতোই তার ধাত্রীবিদ্যা ও নাসিং ডিগ্রি ব্যবহার করতে চাইলে তা অবশ্যই পরিষদ থেকে স্বীকৃত হতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিষদ বছরে কমপক্ষে দুটি সভা করবে এবং সদস্যদের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সভায় এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। খসড়া আইন অনুযায়ি নার্স, ধাত্রী এবং সহযোগি পেশাজীবিদেরকে পরিষদে নিবন্ধিত হতে হবে। তাদের নাম এবং বিস্তারিত তথ্যসহ একটি রেজিষ্টার সংরক্ষণ করতে হবে।
আইন অনুযায়ি, পরিষদে নিবন্ধন ছাড়া কোন নার্স, ধাত্রী ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিদের গ্রহণযোগ্যতা নিষিদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, নিবন্ধনকৃত নার্স, ধাত্রী বা সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিরা সুনিদিষ্ট বিধি ও নীতিমালা লংঘন করলে, তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে এবং পরিষদের রেজিষ্টার থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।
তবে পরিষদ রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করার ৩০ দিনের মধ্যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপীল করতে পারবেন।
কোন ব্যক্তি নার্স, ধাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীর ভুয়া পদবি ব্যবহার করলে তাকে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, বৈধ রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া কেউ নার্সিং ও ধাত্রী পেশা গ্রহন করলে তাকে সর্Ÿোচ্চ তিন বছরের কারাদন্ড অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা যাবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:২৪ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬