| সকাল ৬:২৭ - শনিবার - ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদের অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে বিএফইউজে-ডিইউজে’র বিক্ষোভ সমাবেশ

 

নির্ভিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না দিয়ে সরকার মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছে। সর্বোচ্চ আদালত আপীল বিভাগের ফুলবেঞ্চ জামিন বহাল রাখার পরও শ্যোন অ্যারেস্ট আর রিমান্ডের নামে নিপীড়ন-নির্যাতন সাংবাদিক সমাজকে বিচলিত কর তুলেছে। সরকারের প্রভাবশালীদের এজন্য একদিন জবাবদিহি করতে হবে এবং কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রম্নয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদর রহমানের শ্যোন অ্যারেস্ট ও রিমান্ড আবেদন বাতিল, মাহমুদুর রহমান ও বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদের অবিলম্বে মুক্তি ও বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতারা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে এ বিক্ষাভ সমাবেশের আয়োজন করে। বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন হারম্ননের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রম্নহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে মহাসচিব এম. আবদুলস্নাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এর সহসভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. এহসিন, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডিইউজে’র বাসস ইউনিট প্রধান আবুল কালাম মানিক, সাংবাদিক নেতা সাখাওয়াত ইবনে মইন চৌধুরী প্রমূখ। বিড়্গোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত ।
রম্নহুল আমিন গাজী সব মামলায় জামিন ও জামিননামা কারাগাওে পৌঁছা সত্ত্বেও দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুুদর রহমানকে মুক্তি না দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে আমরা সমাবেশ করে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য প্রধান বিচারপতির হসত্মড়্গেপ চেয়েছিলাম। প্রধান বিচারপতি মাহমুদুর রহমানের জামিন বহাল রেখে আইনের শাসন সমুন্নত রেখেছিলেন। কিন’ সরকার মাহমুদুর রহমানের ওপর সীমাহীন জুলুম করছে। বিনা অপরাধে জেলে বন্দি করে রেখেছে প্রায় ৩ বছর। তিনি বলেন, এই প্রেস ক্লাবে অনেক সাংবাদিক নেতাকে বলতে শুনেছি যে, মাহমুদুর রহমান জামিন চায় না কেন। কিন’ মাহমুদুর রহমান শেষ পর্যনত্ম জামিন চেয়েছেন এবং পেয়েছেনও। তার পর তাকে একটি রাজনৈতিক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট করার পর এখন ওই নেতারা কি বলবেন। এভাবে নিপীড়ন চালিয়ে সরকারের শেষ রড়্গা হবে না। তিনি ডেইলী স্টার সম্পাদকের বিরম্নদ্ধে হুমকি ও হয়রানিমূলক মামলারও প্রতিবাদ জানান।
বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুলস্নাহ বলেন, মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সব মামলায় জামিন পেয়ে যখন মুক্তির সন্ধিড়্গণে পৌঁছেন তখন বানোয়াট মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সরকার মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন ও বিচারব্যবস’াকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছে। সর্বোচ্চ আদালত আপীল বিভাগের ফুলবেঞ্চ জামিন বহাল রাখার পরও শ্যোন অ্যারেস্ট আর রিমান্ডের নামে নিপীড়ন-নির্যাতন সাংবাদিক সমাজকে বিচলিত কর তুলেছে। এজন্য সরকারের প্রভাবশালীদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, বিনা অপরাধে বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদকে ছয় মাস ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি সব মমলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর দুটি মামলায় নতুন করে চার্জশীট দাখিল করে মুক্তি বাধাগ্রসত্ম হয়েছে। ডেইলী স্টার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডজন ডজন মামলা করে তাকে গ্রেফতার ও হয়রানির অপচেষ্টা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অস্তিত্ব রক্ষায় সারা দেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না।
এমএ আজিজ বলেন, আফ্রিকার জঙ্গল ও সুন্দরবনের পশুরা যে স্বাধীনতা ভোগ করে বাংলাদেশের মানুষ আজ তেমন স্বাধীনতাও পাচ্ছে না। মাহমুদুর রহমানকে যেভাবে আটকে রাখা হয়েছে তা আইনের শাসনের প্রতি চরম অবজ্ঞা। তিনি বলেন, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তি, নবম ওয়েজবোর্ড বাসত্মবায়ন ও গণমাধ্যমের স্বাধিনতা ফিরে না আসা পর্যনত্ম আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, মাহমুদুর রহমানকে যেভাবে আটকে দেয়া হয়েছে তা বিচার ব্যবস্থার ওপর সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ ছাড়া কিছুই নয়। কারণ আপীল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছে। তার পর মুক্তি না দিয়ে সরকার চরম অন্যায় ও অবিচার করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে শামসুদ্দিন হারুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাপের লেজ নিয় খেলা করছে। এ খেলার পরিনতি তাদের জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে। মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদকে মুক্তি না দিলে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে। বার্তা প্রেরক জাকির হোসেন প্রচার সম্পাদক, বিএফইউজে

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:২২ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬