| দুপুর ২:২৮ - শনিবার - ১৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কান্দানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের পদত্যাগ : প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

 

ফুলবাড়ীয়া ব্যুরো : ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, শনিবার,

উপজেলার কান্দানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ৬ সদস্য পদত্যাগ করায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড, ঢাকা হতে সরেজমিনে তদনত্ম আসার খবরে ১০টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন তাপস মল্লিককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদ মল্লিক। গত ১৮ জানুয়ারি ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হলে ২১জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন তাপস মল্লিককে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি এ.কে.এম ফজলুল হক কে দায়িত্ব দেয়া হয়।
জানা যায়, গত বছরের ১৬ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির ২৩৪নং সভা কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদ মল্লিক বিরুদ্ধে অদক্ষতা, অব্যবস্থপনা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে কমিটি ভাঙ্গার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য দেয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে পরিচালনা কমিটির ৬জন সদস্য ঐদিনই পদত্যাগ পত্র জমা দেন। প্রধান শিক্ষক পদত্যাগপত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকায় প্রেরণ করলে বিদ্যালয় পরিদর্শক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন তা সরেজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামত ও একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য জেলা শিড়্গা অফিসারকে গত ৬ জানুয়ারি অনুরোধ করে একটি চিঠি দেন। ১৭জানুয়ারি সেই আলোকে জেলা শিড়্গা অফিসার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিড়্গা অফিসারকে সরেজমিনে তদনত্ম করে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। ঠিক তার পরদিন ১৮ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদ মলিস্নক। এনিয়ে কান্দানিয়া বাজারে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকেও ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে।
পদত্যাগ করে আবার সভায় যোগদান করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সদ্য পদত্যাগকারী শিক্ষক প্রতিনিধি ক্বারী মো. ছোলায়মান জানান, আমাদের শিক্ষক প্রতিনিধি ফজলুল হকের অনুরোধে স্বাক্ষর দিয়েছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন, কমিটি ভেঙ্গে গেলে শিক্ষকদের বেতন বিল বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। আমরা সমঝোতার উদ্যোগ নিচ্ছি স্বাক্ষর দিয়ে দেন।
আ,ব.ম ফখরুল আলম জানান, পদত্যাগ পত্রে আমি স্বাক্ষর দেইনি। আমাকে প্রধান শিক্ষক সাহেব বলেছিলেন জেলা পরিষদের একটি অনুদানে স্বাক্ষর লাগতে পারে।
প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন তাপস মল্লিক জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও কাল্পনিক। যেহেতু কমিটির অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সেহেতু এই কমিটিই এখন অবৈধ। তারা যে সকল সিদ্ধান্ত নিবেন সেগুলোও অবৈধ। পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদ মল্লিক জানান, আমি যদি অবৈধ হই তাহলে, আমার স্বাক্ষরে বেতন বিল উত্তোলিত হচ্ছে, বই বিতরণসহ বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কিভাবে?
স্থানীয় জামেল আহমেদসহ এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এখানে ২টি পক্ষই নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে ব্যসত্ম। ফলে ক্ষতিগ্রস’ এলাকাবাসী হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে ভবিষৎ প্রজন্ম।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৫২ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ২৩, ২০১৬