| সন্ধ্যা ৭:৪০ - রবিবার - ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দহগ্রামে ৩জি পৌছে দিল গ্রামীণফোন

অনলাইন ডেস্ক | ২৫ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সাথে কথা বলর মাধ্যমে সাবেক ছিটমহল দহগ্রামে গ্রামীণফোনের ৩জি নেটওয়ার্ক উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়াম্যান মোঃ মোতাহার হোসেন দুজনেই দহগ্রামে গ্রামীণফোনের ৩জি উদ্বোধনের জন্য উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি, সিএমও ইয়াসির আজমান উদ্বোধনের সময় গণভবনে এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, মাহমুদ হোসেন এসময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে দহগ্রামে ছিলেন।
গ্রামীণফোনের ৩জি নেটওয়ার্ক দহগ্রাম হাইস্কুল প্রাঙ্গনে এলাকার অধিবাসী এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয়।
এবছরের জুলাইয়ে ছিটমহলগুলো দেশের অন্তর্ভূক্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহে সরকার এসব এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করে।
গ্রামীণফোনও ৩জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে এই উদ্যোগে যুক্ত হল এবং একই সাথে দহগ্রামকে সাইবার দুনিয়ার সাথে যুক্ত করলো। সাবেক ছিটমহলগুলোতে এটাই প্রথম ৩জি স্থাপনা।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন,”টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের পক্ষে অবকাঠামোর স্বল্পতাকে অতিক্রম করে দ্রুততার সাথে উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। ৩জি প্রযুক্তির মাধ্যমে দহগ্রামের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। দেশের বৃহত্তম ২জি এবং ৩জি নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে পেরে আনন্দিত।”
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থল সীমা চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে সাবেক ছিটমহলগুলোর ৫০,০০০ মানুষের দুর্দশার অবসান হয়। এই ছিটমহলবাসীরা গত ৬৮ বছর ধরে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্যসেবার মতো, সবধরণের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে বসবাস করছিলেন। তারা ১৯৪৭ সারের ভারতভাগের পর থেকেই নিজ নিজ দেশ বা দেশের জনগণের যোগাযোগ ছাড়াই দিন কাটাচ্ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গ্রামীণফোন তার কর্পোরটে দায়িত্বের অংশ হিসেবে দহগ্রাম হাইস্কুলে ইন্টারনেট সংযোগসহ কয়েকটি কম্পিউটার উপহার দেয়।
গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ পৌছে দিতে আগ্রহী। এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন দেশের সব মানুষকে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে, সম্ভাব্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইন্টারনেটের সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ডিজিটাল সেবা ব্যবহারে সুযোগ সৃষ্টি করতে চায়। দহগ্রামে ৩জি সেবা চালু করার মাধ্যমে কোম্পানির ‘ইন্টারনেট ফর অল’ লক্ষ্য আরেকধাপ এগিয়ে গেল। গ্রামীণফোন ইতোমধ্যেই ৫৬০০ ৩জি বিটিএস স্থাপন করেছে, যার ফলে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ ভাগ ৩জির আওতায় চলে এসেছে। #

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:১৯ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২৫, ২০১৫