| সকাল ৮:৩৬ - শনিবার - ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জামালপুরের ব্যবসায়ি নিখোঁজের ১০ দিন পর ঈশ্বরগঞ্জে কঙ্কাল উদ্ধার

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি- | ১৯ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার,
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর বালুঘাট এলাকা থেকে রোববার রাতে জামালপুরের নিখোঁজ ব্যবসায়ি জিয়াউল হকের (২২) কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে কসমেটিক ব্যবসার মালামাল কিনে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি। ওই ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরির প্রেড়্গিতে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশ। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় তারা। আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রোববার রাতে নিখোঁজ জিয়ার কঙ্কাল উদ্ধার করে গতকাল ময়নাতদনেত্মর জন্য পাঠিয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলার ছাউনিয়া বাশচড়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া ঢাকা থেকে কসমেটিক পন্য পাইকারি ভাবে ক্রয় করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। গত ৭ অক্টোবর ভোরে ব্যবসার মালামাল কেনার জন্য বাড়ি থেকে ঢাকায় যান জিয়া। সেখান থেকে রাতে বাড়ি ফিরছে বলে তার ভাই জহিরম্নল ইসলামকে মোবাইল ফোনে জানায়। কিন’ ওই দিন সে বাড়ি ফেরেনি। ওই ঘটনায় ১১ অক্টোবর জামালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার ভাই জহুরম্নল ইসলাম। তিনি জানান, সাধারণ ডায়েরির প্রেড়্গিতে পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ঈশা, রম্নবেল, বাপ্পী, মার্কাজ ও প্রশানত্ম নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিরা তার ভাইকে হত্যার বর্ণনা দেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ময়মনসিংহ স্টেশন এলাকায় এসে তার ভাইকে ওষুধ খাইয়ে ট্রেন থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে তার কাছ থেকে চালান নিয়ে দুই মহিলা জামালপুরের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি থেকে মালামাল তুলে নিয়ে যায়। পরে ধরা পড়ার ভয়ে ৮ অক্টোবর রাতে ময়মনসিংহ সদরের নওমহল এলাকার একটি তিনতলা বাসায় শ্বাসরম্নদ্ধ করে হত্যা করে। আর হত্যাকান্ড অংশ নেন ৬ জন। হত্যার পর জিয়ার লাশ বস্তাবন্দি করে শম্ভুগঞ্জ সেতুর ওপর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলা দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে গত শনিবার ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই বশিরম্নল আলম জানান, পুলিশের হাতে আটক আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ব্রহ্মপুত্র নদীর পার এলাকায় নিহতের স্বাজনরা খোঁজ করতে করতে মরিচারচর বালুঘাট এলাকায় এসে বসত্মাভর্তি লাশের সন্ধান পান। পরে সেখান থেকে যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করে ময়নাতদনেত্মর জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।###

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১৯, ২০১৫