বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন অকার্যকর দাবীতে আদালতে মামলা
নেত্রকোনা প্রতিনিধি , ১৪ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার: সদর উপজেলার চল্লিশার এ ব্যবসায়ীকে কৌশলে ছলনার আশ্রয় নিয়ে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নিকাহ নামা পন্ড, অকার্যকর ও বাতিল ঘোষণার দাবিতে মামলা করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
মামলা সূত্রপাতে জানা যায়, সদর উপজেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এ কে এম নাজমুল হুদা রতন চল্লিশা বাজারে ধানের ব্যবসা করেন। এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি নামজুল হুদা রতন। মোছাম্মাদ তানিয়া আক্তার ফ্লোরা আবুল খায়ের গ্রুপের সিগারেট কোম্পানির কর্মচারী। সিগারেট বাজারজাত করনের লক্ষ্যে নাজমুল হুদা রতনের সহায়তা চান তিনি। বাজারে যাওয়া আসার সুবাদে এবং রতনকে ফাসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ভাই বোনের সম্পর্ক স’াপন করে ফ্লোরার বাসায় নৈশভোজের দাওয়াত করেন রতনকে। সহজ সরল মনমানসিকতায় ফ্লোরার বাসায় দাওয়াত খেতে যেয়ে ফেসে যান। সন্ধ্যা রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফ্লোরা নিজস্ব লোকদের সহায়তায় ঘরের দরজা বন্ধ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরোদ্ধে কাবিন নামায় দস্তখত আদায় করে এবং অলিখিত কয়েকটি ষ্ট্যাম্পে দস্তখত করিয়ে নেন। অভিযোগ রয়েছে ফ্লোরা ইতিপূর্বেও একটি কাবিননামা মুলে টাকা আদায় করেছেন এবং নানা ভাবে নাজেহাল করেছেন নূর আহাম্মদ খান নামে এ ব্যক্তিকে। তানিয়া আক্তার ফ্লোরা পূর্বে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মোঃ আঃ আজিজ খানের ছেলে নূর মোহাম্মদ খানকে (ফরিদ) রেজিষ্টেশন করে বিবাহ করেন। তাদের অল্পদিনের দাম্পত্ত জীবনে চলে আসে একটি কন্যা সন্তান। বিয়ের কিছুদিন পর ফ্লোরা নূর আহম্মদ খানের বিরোদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে দেনমোহর ও ভরন-পোষনের মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর রেজিষ্টেশন অকার্য মামলা দায়েরের পর মোছাম্মাদ তানিয়া আক্তার ফ্লোরা ১৫ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত)এর ১১/(গ) ধারায় নাজমুল হুদা রতনের বিরুদ্ধে নারী শিশু আইনে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।