| রাত ১২:৫৮ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফলোআপ : আ. কদ্দুস এর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই করতে তদন্ত টিম বিদ্যানন্দে

 

ফুলবাড়ীয়া ব্যুরো : ১২ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার,

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বিদ্যানন্দ গ্রামের কথিত মুক্তিযোদ্ধা আ. কদ্দুস ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা গ্রহণের অভিযোগের প্রেড়্গিতে তার বয়স যাচাইয়ে জন্য সমাজসেবা অফিসার কামরম্নজ্জামান কবির গত বৃহস্পতিবার (৮অক্টোবর) সরেজমিনে বিদ্যানন্দ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্‌রাসায় যান। তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে স্থানীয়রা প্রশ্ন তুললে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের ঘরে নিজেই আগুন দিয়ে যুদ্ধপরাধ ও বাড়ী পোড়ার মামলা করেন ৩ শিশুকে আসামী করে।
জানা যায়, প্রায় কয়েক হাজার লোকজনের উপসি’তিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আঃ কদ্দুছের মাদ্রাসার ভর্তি রেজিষ্ট্রার বহি প্রদশর্ন করেন। রেজিঃ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৩/২/১৯৬৯ এবং ভর্তির তারিখ ১৩/২/১৯৭৩ ইং পরে তা তদন্তকারী অফিসারের কাছে হস্তান্তর করেন। মাদরাসা ঘরে ও বাহিরে শত শত মানুষ আঃ কদ্দুছ এর বিরম্নদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। আঃ কদ্দুছ এর বৈমাত্রীক বড় ভাই জয়নাল আবেদীনকে তদন্তকারী টিম জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন তখন আমার বয়স ৭ বছর ছিল। কদ্দুছ আমার চেয়ে ৩/৪ বছরের ছোট সে (কদ্দুস) মুক্তিযোদ্ধা হয় কিভাবে? এছাড়া নিজের ঘরে নিজেই আগুন ধরিয়ে দিয়ে কয়েকজন ভাল মানুষের নামে মামলা করেছে, তখন উপসি’ত সকলে ঠিক ঠিক বলে গর্জে উঠে। আঃ কদ্দুছ মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাংগিয়ে বিভিন্ন প্রকার কুকর্ম করে বেড়ায়, মানুষকে ভয় ভীতি দেখায় এবং মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিবে বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা ও নিয়েছে বলে উপসি’ত সকলে অভিযোগ করেন। তদনত্মটিমের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কামরম্নজ্জামান কবির উপসি’ত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুবকর ছিদ্দিক, সাবেক কমান্ডার আনোয়ারম্নল হক খালেক, ডেপুটি কমান্ডার জি কে এম আনোয়ার হোসেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমান আলী মাস্টার, তৈয়ব উদ্দিন মাস্টার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোবারক আলী মাস্টার, উপসহকারী সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আঃ আজিজ, আতাহার আলী, অফিস স্টাফ আঃ মতিন।
আ. কদ্দুস স’ানীয় মকবুল গংদের কাছে বিভিন্ন সময় ১৯৯৭-২০০৮সাল পর্যনত্ম ৮টি সাফ কাওলা দলিলে ১৮কাঠা জমি বিক্রি করে তা বেদখল দেন।
মুক্তিযোদ্ধার দাপট খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করলে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স’ানীয়রা। পরবর্তীতে নিজের ঘরে নিজেই আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষকে আসামী করে যুদ্ধপরাধী ও বাড়ী পোড়া মামলা করলে থলের বিড়াল বের হতে থাকে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৫২ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১২, ২০১৫