| রাত ১১:৫৪ - শুক্রবার - ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজবন্দি : রোগীদের দুর্ভোগ

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) থেকে,  ৯ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার,
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি চালক না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্যারেজে পড়ে রয়েছে। এতে করে মুমূর্ষ রোগীদের এখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে স্থানান্তর করতে গিয়ে রোগী ও স্বজনদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণির রোগীরা বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরম্নরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন এই স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স থেকে গড়ে ১২জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে জেলা শহরে রোগী পরিবহন করলে খরচ হয় মাত্র পাঁচশত টাকা। কিন্ত অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় বিকল্প যানবাহনে মুমূর্ষ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি অর্থ। এক্ষেত্রে বিত্তবান রোগীদের আর্থিক সমস্যা না হলেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দরিদ্র শ্রেণির লোকজন। অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকার কারণ জানার জন্য স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে যোগাযোগ করা হলে কতৃপক্ষ জানায়, প্রায় তিন বছর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মাসুদ মিয়াকে দুবৃর্ত্তরা কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে। এ ঘটনার পর মাসুদ মিয়া উন্নত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠলেও গৌরীপুর আর চাকরি করেন নি। বদলী হয়ে চলে যান অন্যত্র। এরপর কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রাখার জন্য টাঙ্গাইল জেলার একটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালককে ডেপুটেশনের মাধ্যমে এখানে আনা হয়। কয়েক মাস চাকরি করে তিনিও কর্মস’লে চলে যান। এরপর গত বছরের ৩০শে জুন থেকে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চালক না থাকার কারণে একমাত্র সচল অ্যাম্বুলেন্সটিকে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের গ্যারেজে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও কমপেস্নক্সের চত্বরে আরো দুইটি অ্যাম্বুলেন্স পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। স্থানীয়রা জানায়, কতৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স দুইটি খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে-পুড়ে এর বডিতে মরিচা ধরেছে। এবং চুরি হয়ে যাচ্ছে গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এতে করে নষ্ট হচ্ছে সরকারের মূল্যবান সম্পদ। গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ফকির বলেন, চালক সঙ্কটের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধের বিষয়টি উর্ধ্বতন বিভাগকে জানানো হয়েছে। নতুন কোনো চালককে এখানে বদলি করলেই অ্যাম্বেুলেন্স সেবা পুনরায় চালু হবে। পরিত্যাক্ত অ্যাম্বুলেন্স সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ দুইটি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো হয়ে যাওয়ায় পরিত্যাক্ত অবস’ায় পড়ে আছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:০৯ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৯, ২০১৫