| ভোর ৫:০১ - বৃহস্পতিবার - ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুর পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক এখন বেহাল : পৌরবাসীর চরম দুর্ভোগ

 

শেরপুর প্রতিনিধি: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার,
টানা বর্ষণ ও সংস্কারের অভাবে শেরপুর পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক এখন বেহাল হয়ে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অযোগ্য এবং মরণ-ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে পৌরবাসী চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সরেজমিনে বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শেরপুর শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা মুন্সীবাজার শহীদ বুলবুল সড়ক (টাউন হল মোড়) থেকে গোপাল বাড়ী, সাতআনী পাড়া হয়ে সজবরখিলা মোড় পর্যন্ত সড়ক, পৌর ট্রাক টার্মিনাল থেকে শীতলপুর, ঢাকলহাটী, দিঘারপাড় হয়ে নওহাটা পর্যন্ত সড়ক, নয়আনী বাজার কালিবাড়ী মোড় থেকে কলাহাটি হয়ে খরমপুর মোড় পর্যনত্ম সড়ক এবং অষ্টমীতলা পুলিশ লাইন থেকে নবীনগর হাজির দোকান মোড় হয়ে রাজবল্লভপুর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এসব সড়কের কার্পেটিং ও সিলকোট ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে এসব গর্ত ময়লা ও কাদাজলে একাকার হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন ও পথচারীরা ঝুঁকির সঙ্গে চলাচল করছেন।
শেরপুর পৌর শহরের দীঘারপাড় এলাকার বাসিন্দা মো. হুমায়ুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌর কর বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্ত রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়নি। খারাপ রাস্তায় রিকশা ভাড়া গুনতে হয় দ্বিগুণ। শহরের রাস্তাগুলো দেখলে মনে হয় এটি একটি নোংরা ও ভাঙ্গাচোরা শহর।
পূর্বশেরী এলাকার বাসিন্দা মো. আওরঙ্গজেব বলেন, নবীনগর-পুলিশ লাইন সড়কের পূর্বশেরী অংশে কোন ধরণের কাজ করা হয়নি। ফলে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে এ সড়কে যাতায়াত করে থাকেন।
শেরপুর জেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. জহুরুল হক বলেন, ভাঙ্গাচোরা রাস্তার কারণে মুমূর্ষু রোগীর জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক (এডিবি) সহায়তায় তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের (ইউজিআইআইপি-৩) আওতায় ইতিমধ্যে শহরের কয়েকটি সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। চলতি বর্ষা মওসুম শেষে আসন্ন শুষ্ক মওসুমে অবশিষ্ট সড়কের কাজ শুরম্ন করা হবে। তখন পৌরবাসীর দুর্ভোগের অবসান হবে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:০৯ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫