বাজিতপুরে খরতাপে শিশু -বয়স্ক ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অর্ধশত
বাজিতপুর সংবাদদাতা,১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রোববারঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর হাওর বেষ্টিত উপজেলা সহ আশে পাশের কয়েকটি উপজেলায় অতিরিক্ত বন্যা ও খরতাপে রবিবার শিশু ও বয়স্ক ডায়রিয়া-নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২শত রোগী হামপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বাজিতপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু-বৃদ্ধ সহ বিভিন্ন বয়সের অর্ধশত রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা হলেন পৌর শহরের পাগলারচর গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে নূর আহাম্মদ (৪০) বলিয়ারদি ঘোরাদারা গ্রামের আবুল মিয়ার শিশু ছেলে বাতেন (৬মাস) রাবার কান্দি গ্রামমের মৃত শিশু মিয়া স্ত্রী মাজেদা বেগম (৭০) পৈলনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে আরবি (৩) সরারচর ইউনিয়নের জ্ঞানপুর গ্রামরে আওয়াল মিয়ার শিশু পুত্র ইসমাইল (৪মাস) সরারচর ইউনিয়নের পোরানখলা গ্রামের রহমান মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৪৫) বলিয়ারদি শাপলেঞ্জা গ্রামের সেলিম ভূইয়ার শিশু কন্যা সাদিয়া (২) বড়ঘাগটিয়া গ্রামের মানু মিয়ার ছেলে মাখন (৩০) বাহের নগড় গ্রামের হাজী ছেনু মিয়া স্ত্রী জাহানারা (৫০) রাবার কান্দি গ্রামের মাসুদ মিয়ার শিশু কন্যা সামিরা (২) সররাচরের মৃত ইদু মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (৫০) তাতালচর গ্রামের সোহেল মিয়ার কন্যা সুবর্ণা আক্তার (১বছর ১মাস) রতনপুর গ্রামের আলিম উদ্দিনের শিশু পুত্র হৃদয় (১৬মাস) শাহপুর গ্রামের শহিদ্দুল্লার শিশু পুত্র এসাক মিয়া (৫মাস) ও আয়নারগুপ গ্রামের হুমাযূনের শিশু পুত্র মঈন উদ্দিন (৩)। গত কাল রবি বার সকালে কয়েকজন রোগী জানান বাজিতপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সিট গুলো নোংরা পরিবেশ এবং খাবারের মান খুবই নিম্ন মানের। এই হাসপাতালের রোগীদের জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া সব ঔষধ রোগীদের জন্য বাহির হতে কিনে আনতে হয় বলে তারা উল্লেখ করেন। বাজিতপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ জমির উদ্দিন জানান, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি হাসপাতালের জন্য তিন মাসের যে পরিমানের ঔষধ বরাদ্ধ দেওয়া হয় তা মাত্র দুই মাসে শেষ হয়ে যায়। ফলে রোগীদের সঠিক ভাবে ঔষধ দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করে।