| সন্ধ্যা ৭:০৭ - মঙ্গলবার - ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চরফরাদি ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত কলেজ শাখা ছাত্রদলের নিন্দা ও প্রতিবাদ

 

পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫,  রোববার,
রাজনৈতিক মামলায় পুলিশের দায়েরকৃত চার্জশীট বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রহীত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৩নং চরফরাদি ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৮ই সেপ্টেম্বর ওই চেয়ারম্যানকে বরখাসে-র খবর পৌঁছে পাকুন্দিয়ায়। বিষয়টি রাজনৈতিকসহ সর্বমহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১) মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস- করা হয়। এক অফিস আদেশে চরফরাদী ইউপি চেয়ারম্যান মো.কামাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পাকুন্দিয়া থানার মামলা নং-১৩(১০)১৩ (জিআরনং-৩৬৯)(২)১৩, ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩ দণ্ডবিধি) এর অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রহীত হওয়ার প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস- করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি ও থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চরফরাদি ইউনিয়ন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো.কামাল উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকুন্দিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদল।
গতকাল রোববার সকালে পাকুন্দিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম সজিব স্বাক্ষরিত এক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চরফরাদি ইউপি চেয়ারম্যান মো.কামাল উদ্দিনসহ এ পর্যন- ৫শ ৩৯জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে অন্যায়ভাবে অপসারণ করা হয়। আমরা বিশ্বাস করি যে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এভাবে হেনস’া এবং হামলা মামলা হয়রানি করা হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা শুধু ব্যাহতই হবে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দোরগোড়ায় ধাবিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সনের ২৭ অক্টোবর ২০ দলীয় জোটের আহ্বানে ৬০ ঘন্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করার সময় বিএনপি-পুলিশ-আ.লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ বাদি হয়ে থানা বিএনপির তৎসময়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো.জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনসহ ৬০জন নেতাকর্মীর নামে এবং বেনামে আরও ১২শ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করলেও সরকার সমর্থক কোন নেতাকর্মীকে ওই মামলায় আসামি করা হয়নি।
ওই মামলায় পুলিশ চরফরাদি ইউপি চেয়ারম্যান মো.কামাল উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করলে বিজ্ঞ আদালত তা গ্রহণ করে। প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন কে সাময়িক বরখাস- করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
জনপ্রিয় ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো.কামাল উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করায় আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পাকুন্দিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে উনাকে সম্মান পূর্বক স্বপদে বহালে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫