| সন্ধ্যা ৭:৫০ - মঙ্গলবার - ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

অ্যানেসথেসিষ্ট এর অভাবে নান্দাইল হাসপাতালে ইওসি কার্যক্রম ১০ মাস ধরে বন্ধ

 

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ঃ ১০ সেপ্টেম্বর,  ২০১৫, বৃহস্পতিবার, 

শুধুমাত্র একজন অ্যানেসথেসিষ্ট এর অভাবে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী  প্রসূতি সেবা কার্যক্রম (ইওসি) দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গ্রামের অতি দরিদ্র প্রসূতিরা।
২০০৩ সালে বিদেশী একটি দাতা সংস্থার অর্থায়নে বেশ ঘটা করে এই হাসপাতালটিতে জরম্নরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম নামে একটি প্রকল্প চালু হয়। এর আগে দাতা সংস্থাটির উদ্যোগে এই হাসপাতালের দু’জন ডাক্তারকে বিশেষ প্রশিড়্গন প্রদানের মাধ্যমে ইওসি প্রোগ্রাম উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়।
প্রকল্পের মেয়াদ ২০০৮ সালে শেষ হলে ইওসি কার্যক্রম সরকারী অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবার সাথে
সম্বনয় করা হয়। শুরম্ন থেকেই এ কার্যক্রমটি উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল বলে জানা যায়।
অত্যনত্ম জটিল প্রকৃতির প্রসূতি ব্যাতিত অস্ত্রোপাচারযোগ্য প্রায় সকল প্রসূতিরই সিজারিয়ান এ হাসপাতালেই সম্পন্ন হতো বলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নূরম্নজ্জামান জানান। কিন’ু গত বছরের শেষ দিকে অ্যানেসথেসিষ্ট ডাঃ আব্দুল মোতালেব অবসরে গেলে ও শৈল্য
চিকিৎসক ডাঃ তাজুল ইসলাম খান পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় এ হাসপাতালের প্রসূতিদের অস্ত্রোপাচার বন্ধ হয়ে যায়।
ইতিমধ্যে একজন শৈল্য বিশেষজ্ঞ যোগদান করলেও কোন অ্যানেসথেসিষ্ট পোস্টিং দেয়া হয়নি। একজন অ্যানেসথেসিষ্ট এর জন্য একটি হাসপাতালের অতি জরম্নরী এ কার্যক্রমটি ১০ মাস ধরে বন্ধ থাকায় বিষয়টি নান্দাইলের কোন সচেতন মানুষই মেনে নিতে পারছেননা।
এব্যাপারে নান্দাইল নাগরিক কমিটির সভাপতি এড. হাবিবুর রহমান ফকির ও প্রেসক্লাব সভাপতি হান্নান মাহমুদ বলেন, সামর্থবানরা না হয় ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে গিয়ে সিজার করাতে পারবেন কিন’ হতদরিদ্র প্রসূতিদের কি হবে?
সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের অবহেলা স্বাস্থ্যসেবা খাতে সরকারের এত সাফল্য কি ম্লান হয়ে যাচ্ছেনা?
এব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ অফিসার ডাঃ আবুল কাশেম এ্‌র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেশ কয়েকবার পত্র দিয়ে ও মৌখিক ভাবে অনুরোধ করা সত্বেও কোন কাজ হচ্ছে না।
নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপেস্নসের সেবা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মোঃ আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন শুধুমাত্র অ্যানেসথেসিষ্টের অভাবে জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। এব্যাপারে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। অতিসত্বর একজন অ্যানেসথেসিষ্ট পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।#

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:২৮ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫