| রাত ৮:৪৪ - মঙ্গলবার - ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মুক্তাগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মুক্তাগাছা থেকে সিরাজুল হক সরকারঃ  ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা শিড়্গা অফিসার মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ও তার যোগানদাতা অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান প্রাক্‌ প্রাথমিক শিক্ষা উপকরণ সরকারি কোন বিধিমালা অনুসরণ না করে নিজস্ব প্রতিনিধির নিকট থেকে মালামাল ক্রয় করার জন্য শিক্ষকদের বাধ্য করেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাচ হাজার টাকা হিসাবে সরকারি বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষকদের মাত্র আড়াই হাজার টাকা দিয়ে অফিস সহকারী আনোয়ারের মাধ্যমে পাচ হাজার টাকার চেক এ স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। ক্ষদ্র ও মাঝারি মেরামতের অন্তর্ভূক্ত ৪২টি বিদ্যালয় থেকে বরাদ্দের ২০% টাকা আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে আদায় করার পর চেক বিতরণ করেন। যার দরুণ পর্যাপ্ত টাকা না পেয়ে মেরামতের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। তাছাড়া স্থানীয় শিক্ষকদের বদলীর সুযোগ না দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে বাহির থেকে আগত শিক্ষকদের বদলী করার সুযোগ দিয়ে থাকেন। উক্ত শিক্ষ অফিসার মুক্তাগাছায় যোগদানের পর থেকে শিক্ষদের কোন প্রকার সহযোগিতা ও পরামর্শ না করে প্রতিনিয়ত অশালীন আচরণ করে থাকেন বলে অনেক শিক্ষকই অভিযোগ করেন। ফলে শিড়্গকদের মাঝে এক প্রকার হতাশা বিরাজ করছে আর এই সুযোগে অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন শিক্ষকদের নিকট থেকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে টাইম স্কেল, দক্ষতা সীমা, সার্ভিস বুক হালফিল, পি.আর.এল, পেনশন আনুতোষিক বিলসহ নানাবিধ কাজ বাবদ শিক্ষকদের নিকট থেকে অর্থ আদায় করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও নিজে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল ও সাধারন সম্পাদক কাম্রুজ্জামান কামালের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষে আশু হসত্মড়্গেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৫৫ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫