পত্রিকায় না লিখে ক্ষমা করে দিন; নান্দাইল উপজেলা ডাকঘরে অপারেটরের ঘুষ বানিজ্য
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ঃ ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সোমবার,
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা ডাকঘরে পোস্টাল অপারেটর ফজলুল হকের বিরম্নদ্ধে সঞ্চয়পত্র গ্রাহকদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ডাকঘরের সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। তার এমন কর্মকান্ডে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, পোস্টাল অপারেটর ফজলুল হক গত বছরের নভেম্বর মাসে নান্দাইল উপজেলা ডাকঘর এ যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই সে ব্যস্ততার অজুহাতে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলে তাদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলা পোস্ট মাস্টার অসুস্থতা জনিত ছুটিতে থাকায় সে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার সুযোগে নুতন সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের নানা অজুহাতে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছেন। এছাড়া প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ভাংতি নেই এবং চা-পান খাওয়ার খরচ রাখার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা রেখে দেন।
চন্ডীপাশা এলাকার (সঞ্চয়পত্র) গ্রাহক মাহফুজ বলেন, শুধু তাই নয় সঞ্চয়পত্র কেনার সময়ও তাদের উপরি টাকা দিতে হয়। অবসরপ্রাপ্ত শিড়্গক আব্দুল মান্নান ও নান্দাইল সর্মূত্তজাহান মহিলা কলেজের অধ্যাপক বাবু অরবিন্দ পাল ওই অপারেটরের বিরম্নদ্ধে অনৈতিকভাবে টাকা আদায়ের কথা বলেন।
অভিযুক্ত অপারেটর ফজলুল হককে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, অনেক সময় ভাংতি থাকে না বলে টাকা রাখি। এক মহিলা গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০ টাকা কেন রাখলেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি এর উত্তর দিতে পারেননি। ব্যাপারটি পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করে ড়্গমা করে দেয়ার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলকে তার অফিস টেলিফোনে জিজ্ঞাসা করলে জানান, তিনি নতুন যোগদান করেছেন, বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।#