| রাত ৯:০৪ - শুক্রবার - ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও মামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভা

 

শেরপুর প্রতিনিধি:৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুক্রবার,

শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. বায়েজিদ হাসানের ওপর হামলা ও মামলাদায়েরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শহরের গৃদানারায়ণপুর মোড়ে বায়েজিদের পক্ষে নাগরিক ঐক্য কমিটির উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে বায়েজিদের দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে শহরের নিউমার্কেট মোড়ে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদের ওপর হামলার ঘটনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেননাগরিক ঐক্য কমিটির আহবায়ক মো. মোক্তারুজ্জামান। বক্তব্য দেন বায়েজিদ হাসান, জাকির বিল্লাল,হাবিবুর রহমান, মতিউর রহমান, কারিমুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বায়েজিদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, শেরপুরের জনগণ এখন পৌর মেয়রের বাড়ি মীরগঞ্জের কয়েকজন সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। তাই বায়েজিদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ শেরপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য সভায় বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ কর্মী আবু হানিফ সোহাগ, বাবুল, রিপন, স্বপন প্রমুখ। সভায় নাজমুল ইসলাম বলেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ভাইস-চেয়ারম্যান বায়েজিদউদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে যড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলায় তাঁকে জড়িয়েছেন। এর মাধ্যমে বায়েজিদ সংগঠনের ইমেজ ক্ষুন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। সভায় বক্তারা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলামের বিরম্নদ্ধে দায়ের করা মামলাটিকে মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রসঙ্গত. গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ হাসান তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নে জনসংযোগশেষে বাড়ি ফেরার সময় শহরের কসবা এলাকায় পৌর মেয়রের ছোট ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মতিন,জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাটসহ কয়েক যুবক তাঁর (বায়েজিদ)ওপর হামলা করেন। এসময় তাঁরা কসবা এলাকার একটি দোকানে আটক করে তাঁকে (বায়েজিদ) মারধর করেনএবং তাঁর শরীরে পিসত্মল ঠেকিয়ে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় বায়েজিদ বাদী হয়ে আব্দুল মতিনকে প্রধান আসামি করে নয়জনের নাম উলেস্নখ করেএবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনের বিরম্নদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অবশ্য মতিনবায়েজিদের ওপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম আজ শুক্রবার বিকেলে বলেন, পুলিশ বায়েজিদের ওপর হামলার ঘটনাটি তদনত্ম করে দেখছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:১৩ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫