| রাত ১১:৩১ - শুক্রবার - ২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২১শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নেত্রকোনায় কাতার প্রবাসীকে হত্যার চেষ্টা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি,২৭ আগস্ট ২০১৫, বৃহস্পতিবার:   জেলা শহরের চকপাড়ায় বুধবার সন্ধ্যায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী তসলিম উদ্দিনকে(৪২) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। আহত তসলিম উদ্দিন সদর উপজেলা পশ্চিম উলুৃয়াটী গ্রামের তারাব আলীর ছেলে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন- পুলিশ হামলায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পশ্চিম উলুয়াটী গ্রামের তারাব আলীর ছেলে তসলিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, ওয়াসিম, রাসেল কাতার প্রবাসী। জমি ও টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। পারিবারিক বিরেরাধের কারনে ২০০৯ সালে তারাব আলীর অপর ছেলে সিদ্দিকুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী    কামরুন্নাহার বাদী হয়ে ওয়াসিম, রাসেলসহ ৬জনকে আসামী করে নেত্রকোনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করায় তসলিম উদ্দিনের সাথে তার মা জুলেখা খাতুন, বোন- ভগ্নিপতি ও অন্য ভাইদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওরা তসলিম উদ্দিন ও তার পরিবারের অন্যদের ওপর প্রায়শই অত্যাচার চালাত। বাবা তারাব আলীর সাথেও অন্য ছেলেদের বিরোধ দেখা দেয়। প্রায় ৮মাস আগে গ্রামের বাড়িতে তসলিম উদ্দিনের নব নির্মিত দ্বিতল ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত ক’দিন আগে তসলিম দেশে ফেরেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে শহরে নিউ টাউনের বাসায় যাবার পথে চকপাড়া এলাকায় মসজিদের পাশে ৭-৮জন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায় এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন- দুদিনেও হামলায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
আহত তসলিম উদ্দিন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জন্য বড় ভাইকে ওরা হত্যা করে। প্রতিবাদ করায় আমার অন্য চার ভাই দীর্ঘদিন ধরে আমাকে মারার চেষ্টা করছে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে দুর্বৃত্তদের দিয়ে  আমার উপর হামলা চালিয়েছে। সজল, অভি, রুবল, মিটনকে চিনেছি। ওরা আমাকে কুপিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল।
তারাব আলী জানান, সম্পত্তির জন্য ওরাই আমার আরেক ছেলে সিদ্দিককে হত্যা করেছিল। তসলিমকেও পরিকল্পিতভাবে মারার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার সাথে আমার অন্য চার ছেলে ও তাদের মা জড়িত।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম মাছুদুল আলম হামলার কথা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস’ল থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এখনও কোন মামলা হয়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৫৪ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৭, ২০১৫