| দুপুর ১২:৩১ - শুক্রবার - ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

যমুনার পানি ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত জামালপুরে ৩১ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবান্দি

 

জামালপুর প্রতিনিধি, ২৬ আগস্ট ২০১৫, বুধবার,
জামালপুর যমুনার পানি সামান্য হ্রাস পেলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ছড়িয়ে পড়ায় জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, বকশীগঞ্জ এবং সরিষাবাড়ি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্ল্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। পানিবন্দি লোকজন বিভিন্ন বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও সবজির ক্ষেত। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইসলামপুর উপজেলা। এই উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। ক্ষতিগ্রস’ হয়েছে কাচাপাকা সড়ক, ব্রিজ ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের। বিভিন্ন বাঁধ ও উচু স্থানে আশ্রয় নেয়া বন্যা দুর্গত মানুষ আর গৃহপালিত পশু একসাথে বাস করছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মেলান্দহ-মাহমুদপুর সড়কের কজওয়ে। ফলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্র জানায়, জেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৭৬ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৭৫টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন দুর্গতরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৫৩ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৬, ২০১৫