| রাত ৩:৩৯ - বৃহস্পতিবার - ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সাবধান !

 
 অনলাইন ডেস্ক | ৯ আগস্ট ২০১৫, রোববার,
বলা যায় ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে বাস্তব জগত এখন একাত্মা। আমরা সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে কমবেশি সম্পৃক্ত। তার মধ্যে ফেসবুক অন্যতম।  তবে এই ফেসবুক এখন আর অনেকের কাছেই নিরাপদ নয়। বিশ্বস্ততার দিক থেকে ফেসবুক তালিকার ওপরে থাকায় হ্যাকারদের আনাগোনা এখানে অনেক বেশি। সিনিয়র জুনিয়র, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী বলে কোন কথা নেই। সবাই সবার কাছে বিব্রত হচ্ছেন ফেসবুকে প্রচারিত কিছু সাইট লিঙ্ক নিয়ে। তবে ফেসবুক সার্ভারে এসব অযাচিত সাইট লিঙ্ক বা ভাইরাস প্রবেশের সুযোগ না থাকলেও থেমে নেই হ্যাকার ও অসাধুদের প্রতারণার ফাঁদ।  যারা একেবারে নতুন ব্যবহারকারী তারাই পড়ছেন বেশি ঝামেলায়।

দেখা গেল একেবারে আপনার অজান্তে অ্যাকাউন্ট থেকে পর্নো সাইট শেয়ার হচ্ছে টাইমলাইনে। এতেই শেষ নয়। ট্যাগ করা হয়েছে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ফ্রেন্ডদের। বিব্রত হচ্ছেন আপনিসহ অনেকেই। ম্যাসেজ চলে যাচ্ছে অন্যদের কাছে। কখনো টাকা চেয়ে, কখনো চাকরির অফার দিয়ে, কখনো পর্নো ভিডিও দিয়ে। ফেসবুকে এসবের অনেকটাই হয়ে থাকে ট্রোজান বা মালওয়ারের কারণে। হ্যাকাররা নানা রকম অফার, লিঙ্ক শেয়ার দিয়ে আপনাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে ফেসবুকে। টাকা উপার্জনের নানা লোভনীয় কমেন্ট স্ট্যাটাস দিয়ে। যেখানে ভুলে একবার ক্লিক করলেই চুরি হয়ে যাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য।
অনেক সময় ভিডিও লিঙ্ক শেয়ার দিয়ে তারা বলবে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার আপডেট দেয়ার কথা। আদৌ সেটা ফ্ল্যাশ প্লেয়ার নয়। এর ভেতরে থাকতে পারে হ্যাকারদের নয়া ফাঁদ।
কখনোবা দেখা যাবে আপনারই কোন বন্ধু মানুষ নির্যাতনের ছবি, ভিডিও লিঙ্ক শেয়ার করেছেন। তা দেখে শেয়ার করতে পারেন আপনি নিজেও। কিন্তু এখানেই বেঁধে যেতে পারে ঝামেলা। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে আপনার পিসিতে। হ্যাক হতে পারে আপনার অ্যাকাউন্টটি। এসব ক্ষেত্রে তাই নিশ্চিত হতে হবে সেগুলো আসলেই আপনার বন্ধু শেয়ার করেছে কিনা, নাকি তারও অজান্তে। অনেক সময় আপনি মেইল পেতে পারেন। তাতে বলা হতে পারে ‘ফেসবুকের রং পরিবর্তন হয়েছে, এসেছে ডিজলাইক বাটন- সুবিধা পেতে এখানে ক্লিক করুন’Ñ এ জাতীয় বার্তা। মনে রাখতে হবে ফেসবুকের অধিকাংশ পরিবর্তন হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। তাই এসব ফাঁদ যুক্ত লিঙ্ক বা অ্যাপসে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অনেক ব্যবহারকারী দেখতে চান কতজন ছেলেমেয়ে তার প্রোফাইল চেক করেছে। এমন আগ্রহ আমাদের অনেকের। সামনে আসা এ জাতীয় অ্যাপসে আমরা ক্লিক করি। কখনো মৃত্যুসাল জানতেও অ্যাপস ব্যবহার করি ফেসবুকে। আসলে এ ধরনের কোন অ্যাপস কিন্তু ফেসবুকের নেই। সবই বলা যায় হ্যাকারদের চক্র। ফেসবুকের আদলে তৈরি করা কোন সাইটে বলা হতে পারে আপনাকে লগইন করার জন্য। যা আদৌ ফেসবুকের সাইট কিনা নিশ্চিত হয়েই আপনি লগইন করবেন। নচেৎ একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে।
খুব জরুরি না হলে প্রাইভেসিতে গিয়ে ট্যাগিং অফশনটা অফ রাখাই উত্তম। যেখানে সেখানে ফেসবুক পাসওয়ার্ড রিমেম্বার দিয়ে লগইন রাখা মোটেও সমীচীন নয়। কখনও কোন ভুল লিঙ্কে, পর্নো সাইটে অজান্তে ক্লিক করে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে উচিত হবে ফেসবুকের নতুন ই-মেইল আইডি ও  শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন এক্সেস পরিবর্তন করা। পিসি, ট্যাব, মোবাইল ভাইরাসমুক্ত রাখা। না হলে ভার্চুয়াল দুশ্চিন্তা বাস্তবে এসে পড়বে না এমন নিশ্চয়তা তো কখনোই দেয়া সম্ভব নয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৫০ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৯, ২০১৫