| রাত ৯:০১ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘুষ না দিলেই শোকজ, ধোবাউড়া ২ দলিল লেখককে শোকজ, ২ দিন পর প্রত্যাহার

ধোবাউড়া প্রতিনিধিঃ ৪ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার:

ধোবাউড়া উপজেলা সাবরেজিষ্টার নূরে তোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে ঘূষ না দিলে দলিল লেখককে শোকজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি দলিলে অতিরিক্ত ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়। আর না দিলে সাব-রেজিষ্টার তার খাস কামরায় নিয়ে গিয়ে শোকজ করার হুমকি দেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন দলিল লেখককে তিনি শোকজ করেছেন। গত বুধবার ধোবাাউড়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সিনিয়র দলিল লেখক সোলাইমান সরকার ও নবাগত মাসুদ সরকারকে জাল দলিলের কারনে শোকজ করেন সাব-রেজিষ্টার নূরে তোজাম্মেল। পরে ২ দিন পর আবার প্রত্যাহারও করে নেন। এ ব্যাপারে দলিল লেখক সোলাইমান সরকার ও মাসুদ সরকার বলেন, আমাদের দলিল জাল নয় সাব-রেজিষ্ট্রার সাহেব কিভাবে আমাদের শোকজ করেছে তা জানা নেই। বৃহস্পতিবার সাবরেজিষ্টার নূরে তোজাম্মেল হোসেনের মুটোফোনে কল করে শোকজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল জাল দলিল করার তাই শোকজ করেছি। এ ঘটনায় সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। একজন সিনিয়র দলিল লেখককে এভাবে অপমানিত করা কেউ মেনে নিতে পারছেনা। কিন’ কেউ প্রতিবাদ করতেও পারছেনা। প্রতিবাদ করলে শোকজ করার ভয় থাকে। এর আগে উৎকোচের জন্য দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকারকে শোকজ করা হয়েছিল। তাই দলিল লেখকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে সাবরেজিষ্টার তার নিজের ইচ্ছামতো উৎকোচের টাকা বসিয়ে দেন। আর এই টাকা অফিস সহকারী রেজাইল করিম ও রতন এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। উৎকোচের এই টাকা থেকে তারাও কিছু অংশ পায় বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এদিকে রবিবার শোকজ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সাবরেজিষ্টার নূরে তোজাম্মেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলিল জাল ছিলনা ছোট একটি ভুলের জন্য শোকজ করা হয়েছিল এখন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:১১ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৪, ২০১৫