| বিকাল ৪:৩২ - বৃহস্পতিবার - ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাকৃবি তে ছাত্রলীগের দু’গ্রপে সংঘর্ষ, ভাংচুর আহত ৮,শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

লোক লোকান্তর ডেস্কঃ  আধিপত্য বিস্টারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ময়মনসিংহে বাকৃবি ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস’ায় বাকৃবি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহির শাহরিয়ারসহ ৫জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিকৃত আহত অন্যরা হলো-বাকৃবি ছাত্রলীগের নুরে আলম বাপ্পী, অলিউল ইসলাম অলি এবং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের দিগারকান্দা এলাকার আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় বাকৃবি ছাত্রলীগের ৩ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রীতিকর পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণ করতে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স’ানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বাকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু এবং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের মধ্যে আধিপত্য বিস-ার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাকৃবি প্রথম গেটের কাছে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবুর মোটরবাইক আগুনে পুড়িয়ে দেয় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কেওয়াটখালী এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের বাসা এবং আশেপাশের দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
পরে স’ানীয় জনতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুলসহ ৪/৫জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে গ্রেফতার দেখিয়ে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলামের অবস’ার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর জাকির হোসেন জানান, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের কারনে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
নির্দেশ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আজ সকাল থেকেই হল ছাড়তে শুরু করে। হঠাৎ করে হল বন্ধ ঘোষনা করায় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে চিন-ায় পড়েছে।
তবে পর্যাপ্ত যানবাহন না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিপাকে। ঈদের ছুটির পরপরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেবে এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১:৩৩ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৮, ২০১৫