পূর্বধলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও উন্নয়নে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ২০১৪/২০১৫ অর্থ বছরে সরকার পূর্বধলা উপজেলার শিড়্গা অফিসের অধীনে ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও টয়লেট সংস্কারের জন্য ২৩ লড়্গ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য ১৪ লড়্গ্য টাকা, ১৯টি বিদ্যালয় মাঝারী সংস্কারের জন্য ৫ লড়্গ ৭০ হাজার টাকা, এবং ২০টি বিদ্যলয়ের টয়লেট সংস্কারের জন্য ৪ লড়্গ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ের কাজ ৩০ শে জুনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার প্রতিটি স্কুলের এস.এম.সি’র (সিস্নপ কমিটির মাধ্যমে) কাজের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বেশ কয়েকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিড়্গকের সাথে আলাপ কালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, সংস্কার কাজ করার পর বিল উত্তোলনের সময় উপজেলা শিড়্গা অফিস স’ানীয় কতিপয় শিড়্গক নেতার মাধ্যমে অফিস খরচের নামে প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট অংকের অর্থ আদায় করলেও নানা প্রকারের হয়রানির ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।
অন্য দিকে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলীরা অফিসে বসেই প্রকল্প তৈরী ও প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
এ ছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুলের কাজ না করেও বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে দুইটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় এসএমসি ও উন্নয়নের টাকা ফেরত গেছে।
নানা অনিয়মের ব্যাপারে উপজেলা শিড়্গা অফিসার তৌফিকুল ইসলামের সাথে তার মোবাইল ফোনে (০১৭১১-১৮৮৭২৭) যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার কথা অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন। তৃতীয় দফা ফোন করলে তিনি জানান, শিড়্গকদের কাছ থেকে অফিসের নামে টাকা রাখা হচ্ছে এ ধরনের কেউ অভিযোগ করেননি তাই তিনি এ ব্যপারে কিছু বলতে পারবেন না ।
অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সহকারী-প্রকৌশলীদের নিষেধ করা হয়েছে প্রত্যয়ন পত্র দেওয়ার সময় যেন কোন টাকা না নেওয়া হয়। তবে এ ব্যাপারে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।