গফরগাঁওয়ে কারিগরি কলেজ উচ্ছেদ, তালা, অনিশ্চয়তায় শতাধিক শিক্ষার্থী
আজহারুল হক, গফরগাঁও, ৬ জুলাই ২০১৫, সোমবার,
ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর এলাকার কেন্দ্রিয় সৃতিসৌধের সামনে অবসি’ত একটি কারিগরি কলেজে সন্ত্রাসীরা হামলা ও ভাংচুর করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। গত রোববার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও কলেজ শিক্ষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, কলেজ প্রতিষ্ঠাতারা এই জায়গার বহুতল ভবন নির্মাণ করার কারনে এটি উচ্ছেদ করে। পরে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ কলেজের প্রধান ফটকে টানিয়ে দেয়। এ পরিসি’তিতে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
জানা যায়, গফরগাঁও কলেজ রোডে ২০০৪ সালে গফরগাঁও টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে উচ্চ মাধ্যমিক ব্যবসা শিক্ষা শাখায় কম্পিউটার অপারেশন ও সেক্রেটেরিয়াল সাইন্স বিষয়ে ৮০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে কারিগরি শাখা একাদশ শ্রেণীতে ৩১ জন প্রথম মেধা তালিকায় ভর্তি হয়েছে। অপেক্ষমান রয়েছে ২৯ জন শিক্ষার্থী। এমতাবস’ায় গতকাল সোমবার সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে দেখেন ভাংচুরের চিহ্ন, কলেজে তালা, সাইন বোর্ড নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কলেজটির অনুমোদন দেয়। কতৃপর্ক্ষ ১১জন শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে ২১লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। পর্যায়ক্রমে ২০১২ সালে পারিচালনা কমিটি ‘এমপিও ভুক্তি’র জন্য ৪ লাখ টাকা নেয়।
গফরগাঁও টেশনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের কম্পিউটার অপারেশন শাখার ২য় বর্ষের ছাত্রী সুইটি আক্তার ও মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, এখন নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের কি হবে। আমাদের শিক্ষা জীবন রক্ষায় শিক্ষামন্ত্রীর হসত্মক্ষেপ কামনা করি।
কলেজ অধ্যক্ষ মুজাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, প্রতিষ্ঠাতা পরিবার ও পরিচালনা কমিটি কলেজটি উচ্ছেদের জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। কলেজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ নিয়ে গেল পুলিশ তা প্রত্যাখান করে।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, কলেজের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত ব্যবস’া না থাকার দরুন বন্ধের সিন্ধানত্ম নিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। ঘটনা সত্যতা যাচাইয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস’া নেওয়া হবে।