গৌরীপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে অর্ধশত পরিবার গৃহহীন
সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, গেরীপুর থেকে,২৯ জুন ২০১৫, সোমবার: ময়মনসিংহের গেরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের চরাֲলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে অর্ধশত পরিবার বসতভিটা! ও ফসলি জমি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিনই ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। আর পালা দিয়ে অব্যাহত ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নদের পাড়। এবার নতুন করে এই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে আরও ২৭টি বাড়ি। ফলে চরম আতঙ্কে আছেন এখানকার মানুষগণ। নদের ভাঙ্গনে প্রভাব পরেছে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে । গত দুই বছরে ভাটিপাড়া গ্রামটি অধিকাংশই নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্বেচ্ছাস্রমে নির্মিত বেড়িবাঁধটিও ভেঙ্গে গেছে। প্রশাসনের আশ্বাসে্ প্রস্তাবিত ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্পিত এক বছরেও আলোরমুখ দেখেনি। এই লীলা দেখেও বাংলাদেশ পানি উনয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙ্গনের কবলে নাপ্তেরআলগী সড়কটি অস্বিত্ব হরিয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যে উমেদ আলীর পুত্র বাচ্চু মিয়া, ওয়াহেদ আলীর পুত্র খালেক, আবুল খালেকের স্ত্রী নারগিস আক্তার, শাহাব উদ্দিন খুদরত আলীর পুত্র মুরশিদ আলী, জয়নাল মিয়া, রজব আলী, তাহের উদ্দিন সহ ২৭টি পরিবারের বাড়িভিটা প্রবল স্রোত তোরে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্রোতে হারিয়ে গেছে গ্রামের রক্ষা বাঁধ। গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রায়২০ লক্ষাদিক টাকা ব্যয়ে স্বেচ্ছা্স্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। সে বাঁধও তলিয়ে গেছে। নদের গর্ভের বিলীন হওয়ায় আশংকায় রাত কাটাচ্ছে রুবেল মিয়া, আলাল উদ্দিন বাবুল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, জামাল মিয়া, সুতি, রবিকুল, মমতাজ, মেয়া হোসেন, বাচ্চু মিয়া, হুমায়ুন কবির, রবিকুল ইসলাম, রজব আলী, উমেদ আলী। নাপ্তেরআলগী, ভাটিপাড়া, ভোলারআলগী গ্রামসহ ভাংনামারীর সীমানা রাস্তায় বাংলাদেশ পানি উনয়ন বোর্ড এক বছর পূর্বে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ রক্ষা প্রকল্প নেয়ার বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানিয়ে আশ্বাস করেন। তবে এ প্রকল্পের কাজ এক বছরেও শুরু হয় নি ।