| বিকাল ৪:৩৪ - শুক্রবার - ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

কিশোরগঞ্জে শ্রমিক ধর্মঘটের প্রতিবাদে এবার মালিকদের ধর্মঘট, যাত্রীদের ভোগান্তি

সিম্মী আহাম্মেদ, কিশোরগঞ্জ ●, ২৮ জুন ২০১৫, রবিবার:
প্রশাসনের হসত্মড়্গেপে শনিবার সকালে শুরম্ন হওয়া জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট রাতে প্রত্যাহারের পর এবার ধর্মঘটে নেমেছেন পরিবহন মালিকরা। অযৌক্তিকভাবে ধর্মঘট আহ্বানের সুষ্ঠু বিচার ও ধর্মঘট আহ্বানকারী শ্রমিক নেতাদের শাস্তির দাবিতে বাস না চালানোর সিদ্ধাত্ম নিয়েছেন তারা। পরিবহন মালিক সমিতির এ সিদ্ধানেত্মর ফলে রোববার সকাল থেকে জেলা ও আনত্মঃজেলা সকল রম্নটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাস ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় চরম ভোগানিত্মতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। শ্রমিকদের পর হঠাৎ মালিকরা বাস ধর্মঘট ডাকায় বিস্মিতও হয়েছেন তারা।
কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক মানিক রঞ্জন দে দাবি করে বলেন, শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের প্রতিবাদেই মালিকরা ধর্মঘট ডেকেছে। যেসব শ্রমিকনেতা এসবের জন্য দায়ি তাদের বিচার না হওয়া পর্যনত্ম মালিকরা বাস চালাবে না।
জানা গেছে, মালিক ও শ্রমিকদের সমস্যাসহ পরিবহন সংক্রানত্ম বিষয়াদি সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে জেলা সড়ক পরিবহন কর্তৃপড়্গের একটি কমিটি রয়েছে। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক কমিটির সভাপতি এবং বিআরটিএ’র কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা আলমগীর মুরাদ রেজা বলেন, শ্রমিকদের একটি অংশ বিআরটিএকে না জানিয়ে অন্যায়ভাবে শনিবার বাস বন্ধ রেখেছে। তাই এর সাথে জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যনত্ম মালিকরা তাদের বাস চালাবেন না।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন মিয়া বলেন, ধর্মঘট আহবান করে আমরা কোনো অন্যায় করিনি। যথাসময়ে নির্বাচন দাবি করা আমাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন’ মালিক সমিতির একটি অংশের অসহযোগিতার কারণে নির্বাচন হচ্ছে না। মালিক সমিতি কখনোই শ্রমিকদের স্বার্থ দেখে না। তিনি আরো বলেন, তাদের ধর্মঘট মালিকদের বিরম্নদ্ধে ছিল না।
তবে সাধারণ যাত্রীরা এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা দাবি করেন জানান, এ অবস’া চলতে দেয়া যায় না। শ্রমিক-মালিক দু’পড়্গই যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের যে খেলায় মেতেছে, তা খুবই খারাপ নজির হয়ে থাকবে। কয়েকজন যাত্রী ড়্গোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিক ও মালিকরা এক সঙ্গে বসে তাদের সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলতে পারে। কিন’ যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের কৌশল অনৈতিক।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:২৪ অপরাহ্ণ | জুন ২৮, ২০১৫