| রাত ১:১০ - শনিবার - ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কিশোরগঞ্জে পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা কথায় কথায় ধর্মঘট, যাত্রীদের ভোগান্তি

সিম্মী আহাম্মেদ, কিশোরগঞ্জ ●, ২৭ জুন ২০১৫, শনিবার
ফের সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কিশোরগঞ্জ। জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবিতে ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শনিবার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ থেকে জেলা ও আনৱঃজেলা সকল রম্নটে বাস ও ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন মিয়ার গ্রম্নপের ডাকা এ পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়কপথের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বাড়তি চাপ পড়েছে বিভিন্ন গনৱব্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে। এছাড়া বাস, পিকআপ কিংবা অন্যান্য গণপরিবহন চলাচল না করায় বহু যাত্রী টার্মিনাল থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের কাঞ্চন মিয়া জানান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পৌর মেয়রসহ সংশিস্নষ্টরা গত ২৮শে মে পরামর্শ করে যৌথভাবে সিদ্ধানৱ জানিয়েছিলেন যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে ২৭শে জুন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুল আরেফিন গোলাপ নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন। কিন’ পরিবহন মালিক পৰের যোগসাজসে জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদ মিয়া গত ৩০শে মে রাতের আঁধারে একতরফাভাবে শ্রমিক ইউনিয়নের চলমান কমিটি ভেঙে দেন। এছাড়া ওই পৰটি শহরের একরামপুর এলাকায় অবসি’ত শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়টিও তাদের দখলে নিয়ে নেয়। এ অবস’ায় গত এক মাসেও কোন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়নি এবং ধার্য্য তারিখ ২৭শে জুন কোন নির্বাচন অনুষ্ঠানও হয়নি। এ সবের প্রতিবাদে শ্রমিকদের পৰ থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না দেয়া পর্যনৱ এই ধর্মঘট চলবে বলেও কাঞ্চন মিয়া জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল আনৱঃজেলা বাস টার্মিনালে বিভিন্ন গনৱব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অপেৰমান যাত্রীরা অভিযোগ করেন, শ্রমিকেরা নিজেদের সমস্যা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করতে পারতেন। কিন’ এটা না করে তারা কথায় কথায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলেন। এ প্রবণতা থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাস চালক জানান, নেতাদের একজন আরেকজনকে হটিয়ে নেতৃত্বে থাকতে চান। এর বলি হচ্ছেন সাধারণ শ্রমিকেরা। ধর্মঘটের ফলে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে না পারায় তাদের পরিবারগুলো আর্থিকভাবে ৰতিগ্রস’ হচ্ছেন। এ থেকে উত্তরণে মালিকেরা কোন পদৰেপ না নিয়ে তারাও কোন না কোন পৰ অবলম্বন করে যাচ্ছেন। অথচ কত শ্রমিক কত সমস্যা নিয়ে শ্রমিক নেতাদের দ্বারস’ হয়, কিন’ শ্রমিকদের সমস্যার আর সমাধান হয় না। নেতা নির্বাচনের দাবিতে এ ধর্মঘট শ্রমিকদের জন্য মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, আমরা না খেয়ে থাকলেও কেউ খবর নিতে আসবে না। কিন’ আমাদের জিম্মী করেই দু’টি পৰ এমন নোংরা খেলা খেলে চলেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | জুন ২৭, ২০১৫