| বিকাল ৪:৩০ - রবিবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় ময়মনসিংহ শহরে তীব্র গণপরিবহন সংকট, মানুষের চরম দুর্ভোগ

 

মতিউল আলম,২৬ জুন ২০১৫, শুক্রবার,
পবিত্র রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ শহরে যানজট নিরসনে জন্য প্রশাসনের নির্দেশে গত ২১ জুন থেকে লাইসেন্সবিহীন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় তীব্র গণপরিবহণ সংকট দেখা দিয়েছে। সেইসাথে প্রায় ৭ হাজার ইজিবাইক চালক ও প্রায় ৫ হাজার মালিকসহ ১২ হাজার পরিরার মানবেতন জীপযাপন করছে। ইজিবাইকের কারণে শহরের রিকশা প্রায় কমে গেছে। তাই ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকই এখন শহরে একমাত্র গণপরিবহণে পরিণত হয়েছে। এই গণপরিবহণ সংকটের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ সর্বসত্মরের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে ইজিবাইক কমে যাওয়ায় রিকশাচালকরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। তারা দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে।
বন্ধ ইজিবাইক চালুর দাবীতে গত ২৪জুন বুধবার দুপুরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক ও মালিকরা জেলা ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুব বিন সাইফের নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। তারা অবিলম্বে বন্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূর করে পৌরসভা থেকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া নেয়ার জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যানজট নিরসন করে শহরবাসীর ভোগানিত্ম লাঘবে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উলেস্নখ্য, ময়মনসিংহ শহরে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায় সাড়ে ৭ ‘শ ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরম্নল আমীন কালাম জানান, শ্রমজীবী ইজিবাইক চালকের পরিবারের রম্নটি-রম্নজি হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ায় পবিত্র রমজান মাসে খেটে খাওয়া ওইসব পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছে। তারা বলছে যারা ওটা বন্ধ করেছেন তারা তাদের পেঠে লাথি মেরেছে। অপরদিকে নানা কারণে রিকশা কমে গেছে, যা আছে তাতেও ভাড়া তিনগুণ ও চারগুণ নিচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের এখন ইজিবাকই একমাত্র গণপরিবহন। বিকল্প কোনো ব্যবস’া ছাড়াই হঠাৎ ইজিবাইক বন্ধ করে দেয়ায় শহরে তীব্র পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। গণপরিবহণ সংকটের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ সর্বসত্মরের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
ইঞ্জিনিয়ার নূরম্নল আমীন কালাম আরো জানান, এমন দুর্ভোগে শিকার হওয়া মানুষের পাশে থাকবে জেলা নাগরিক আন্দোলন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করে অবিলম্বে গণপরিবহণ সংকট নিরসন কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া গ্রহণে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পৌর মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান হবে । এব্যাপারে গত ২২ শে জুন সন্ধ্যায় জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভায় সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই কর্মসূচী বাসত্মবায়ন করা হবে। ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০:১০ অপরাহ্ণ | জুন ২৬, ২০১৫