| রাত ৮:৪৫ - বৃহস্পতিবার - ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

গফরগাঁওয়ে প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

গফরগাঁও প্রতিনিধি, ,২৫ জুন ২০১৫, বৃহস্পতিবার:
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এবার ২২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ হাজার ৪৪৬ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি গ্রহণের কার্ডে ৬০০টাকা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করা হলেও বিতরন করা হয়েছে ৫০০ টাকা করে। এতে উপবৃত্তির ৩২ লাখ ৪৪ হাজার ৬’শ টাকা ভাগ-ভাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলার ২২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ হাজার ৪৪৬ জন শিক্ষার্থীকে জানুয়ারী থেকে জুন মাস পর্যনত্ম ৬ মাসের উপবৃত্তি বাবদ ৬০০টাকা করে বিতরনের জন্য এক কোটি ৯১ লাখ ৩৩ হাজার ৬’শ টাকা বরাদ্দ আসে। গত ১৮জুন থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি বিতরণ শুরু হয়। কিন’ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের কার্ডে ৬০০টাকা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে বিতরন করা হয়েছে ৫০০টাকা করে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসনেত্মাষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) ও প্রধান শিক্ষকরা আতাত করে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ৬০০ টাকা থেকে জনপ্রতি ১০০টাকা কম দিয়েছেন। এতে উপবৃত্তির ৩২ লাখ ৪৪হাজার ৬’শ টাকা ভাগ-ভাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
গাভীশিমূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর (মোঃ রানা) অভিভাবক লাইছ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপবৃত্তির কার্ডে ৬০০টাকা প্রদান করা হয়েছে লেখা থাকলেও আমার ছেলে পেয়েছে ৫০০টাকা। দক্ষিণ হারিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাসেল সরকার অভিযোগ করে বলেন, সরকার থেকে টাকা কম দেওয়া হয়েছে এমন মিথ্যা কথা বলে উপবৃত্তির ৬০০টাকার স’লে ৫০০টাকা দেওয়া হয়েছে। খুরশিদ মহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, ওই বিদ্যালয়ের ২৭০জন শিক্ষার্থীর প্রত্যকেই ৫০০টাকা করে পেয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধান শিক্ষকরা জানান, সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের এটিওদের নির্দেশ মোতাবেক উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম ও ইসরাত জাহান ১০০টাকা করে কম দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উপবৃত্তির বরাদ্ধ এবার একটু কম এসেছে। তবে ৬০০টাকার স’লে ৫০০টাকা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | জুন ২৫, ২০১৫