বাজিতপুরে ঘোড়াউত্রা নদীর পানির তোড়ে কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে

বাজিতপুর সংবাদদাতা ঃ ,২৫ জুন ২০১৫, বৃহস্পতিবার:
সিলেট থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড়, দিলালপুর, মাইজচরসহ আশেপাশের নদী বেষ্ঠিত গ্রামগুলো ঘোড়াউত্রা নদীর উত্তাল ঢেউয়ে গ্রামগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। গ্রামবাসী বাড়িঘর হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। এরই মধ্যে আছানপুর নদী বেষ্ঠিত গ্রামটি ও দিঘীরপাড়ের বোয়ালী, শিবপুর, সাহাপুরসহ এইগ্রামগুলোর মানুষেরা পানিবন্দী হয়ে আছেন। পানির বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোত থাকায় নদীর ভাঙ্গণে এসব গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হুমকীর মুখে রয়েছে। এদিকে গত কয়েক বছর ধরে শুকনা মৌসুমে ঘোড়াউত্রা (বেঙ্গলা) নদীতে একদল বালুখেকুরা এই নদী হতে বছরের ৯মাসই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করার ফলে বর্ষা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মাটি সরে গিয়ে ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, গত ২০/২৫ বছরে নদী ভাঙ্গণের কারণে এসব গ্রামের প্রায় ৩/৪হাজার জেলেরা শহরে গিয়ে নিজেদের জাতি পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় গিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। কিন’ প্রতিবছর এসব মানুষের জন্য সরকারীভাবে যতটুকু পর্যনত্ম সাহায্য আসে তাও আবার নগন্য। বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. জেড. এম. শারজিল হাসান আজ বৃহস্পতিবার জানান, প্রত্যেক ইউপিচেয়ারম্যানকে বন্যা সতর্কীকরণ খবর দেওয়ার জন্য বলেছেন। দিলালপুর আব্দুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃকাইয়ুম বলেন- প্রবল বৃষ্টির ধরণ ও পাহাড়ী পানির ঢলে মনে হচ্ছে এবার বন্যা হতে পারে।