| রাত ২:০৯ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মানবপাচারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ২৪ জুন ২০১৫, বুধবার,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্প্রতিককালে অবৈধভাবে মানবপাচার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ অবৈধ মানবপাচারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করতে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  সংসদে আজ বুধবার প্রশ্নোত্তরে এমপি শরীফ আহমেদের (ময়মনসিংহ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে প্রতি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাউন্টার ট্রাফিকিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন করা হয়েছে। আইনে মানবপাচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।  তিনি বলেন, মানবপাচার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং মানবপাচারকারীরা আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো উন্নত ও অত্যাধুনিক ট্রেনিংয়ের লক্ষ্যে জাতীয় পরিকল্পনা ২০১২-১৪ প্রণীত ও বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়াও মানবপাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০১৫-১৭ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে যা শিগগিরই প্রকাশিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মানবপাচার উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় কোস্টগার্ডের বর্তমান সময়ের কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হয়েছে। কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে আরো একটি পেট্রল ক্রাফট এবং একটি অত্যাধুনিক হাইস্পিড মেটাল সার্ক বোর্ড সার্বক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম ও গহিরা অঞ্চলে টহলে নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশ গমনকালে আজ পর্যন্ত এক হাজার ৭৩৬ জন বিদেশগামী নাগরিককে সাগর থেকে আটক করেছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত ১৫০০ নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে নারী এক হাজার ৯৪ জন, শিশু ৪০৬ জন। ২০১৪ সালে নারী উদ্ধার করা হয় ৮৫২ জন, শিশু ৩১৭ জন। এছাড়া ২০১৫ সালে নারী উদ্ধার করা হয় ২৪২ জন এবং শিশু উদ্ধার করা হয় ৪০৬ জন। এই সময়ে ২৭ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। একই সময় মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ৪৪৮টি মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০:১০ অপরাহ্ণ | জুন ২৪, ২০১৫