ঝিনাইগাতীতে চাঁদাবাজি মামলার আসামী গ্রেফতারে বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি ঃ ২২ জুন ২০১৫, সোমবার:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গত ২০ জুন শনিবার রাতে চাঁদাবাজি মামলার আসামী পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ায় বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও হামলা চালিয়েছে আসামী পক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস’লে যাওয়ার আগেই আসামী পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের জারম্নলতলা ও বাঐবাধা এলাকার আমতলী মোড় বাজারে। ঘটনাস’ল পরিদর্শন ও থানার অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে বাঐবাধা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আঃ রাজ্জাকের নিকট থেকে জারম্নলতলা গ্রামের মৃত বেলায়েত আলীর ছেলে আহসান কবির বাঐবাধা মৌজার দাগ নং- ৪১৯, খতিয়ান নং- ৭৫৯২, আরওআর নং- ৭৮ এর ৩২ শতাংশ কাতে আমতলী মোড়ের পাকা রাসত্মা সংলগ্ন পশ্চিমাংশে ১ শতাংশ এবং তার পূর্বাংশে ৫ শতাংশ সহ মোট ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জায়গাটি ক্রয়ের পর পরই পাকা রাসত্মা সংলগ্ন পশ্চিমাংশে ১ শতাংশ জমিতে টিনসেড হাফ বিল্ডিং ঘর নির্মান করে প্রায় ৫ বছর যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে আহসান কবির। হঠাৎ করে গত ৩ মাস পূর্বে আবির্ভাব ঘটে ওই জমি বিক্রেতার ছোট ভাই রম্নসত্মম আলীর। রম্নসত্মম আলীর দুই ছেলে হাবিব ও নবী হোসেন আহসান কবিরের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা দিতে না পারলে ক্রয়কৃত জায়গা ছেড়ে দেওয়া সহ প্রাণনাশের জন্যও হুমকি প্রদান করে। অবশেষে গত ১৬ জুন মঙ্গলবার বিকালে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আহসান কবির ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এতে আহসান কবির সহ ২/৩ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে আহসান কবিরের বড় ভাই নজরম্নল ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনকে বিবাদী করে ঝিনাইগাতী থানায় মারপিট ও চাঁদাবাজির বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঝিনাইগাতী থানার ওসি (তদনত্ম) বিল্পব কুমার বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাবিব ও আইনাল নামে ২ আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুই আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে আসার পর আসামী পড়্গের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ফিল্মি স্টাইলে আহসান কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ ও ভাংচুর করে অনেক ড়্গতি সাধন করে। পুলিশ ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে গুঞ্জন উঠেছে, এক ভাই জমি বিক্রি করবে আরেক ভাই চাঁদা চাইবে। আর চাঁদা না দিলে উচ্ছেদের জন্য ভাংচুর চালাবে এ কেমন নিয়ম! এ ব্যাপারে তদনত্ম কর্মকর্তা ওসি (তদনত্ম) বিল্পব কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ২ জনকে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটির তদনত্ম অব্যাহত আছে।