| সকাল ৭:০৮ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিরিজ জিততে আত্মবিশ্বাসী হাথুরুসিংহে

অনলাইন ডেস্ক,২১ জুন ২০১৫, রবিবার: 

জানুয়ারি থেকে শুরু করে জুন-২০১৪, একের পর এক পরাজয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাংলাদেশের। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই হারের কলঙ্ক। ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন শ্রীলঙ্কান চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। আগেই দায়িত্ব নিলেও গত জুনে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে সরাসরি দলের সঙ্গে ছিলেন না প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে। সেই সিরিজটি বাইরে থেকেই দেখেন। বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০তে হেরে যায়। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। এরপর একটি বছর কেটে গেছে। হাথুরুসিংহের দায়িত্বে ২০টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ জয় ১২টিতে। ভারতের বিপক্ষে সেই জুনের সিরিজ আর একবছর পর এই জুনের সিরিজ যেন রাত আর দিনের পার্থক্য। গত জুনে ৫৮ রানে  অল আউট হওয়ার লজ্জা ছিল আর এবার ৭৯ রানের বড় জয়ের গৌরব। তবু খুশি নন বাংলাদেশ কোচ হাথুরুসিংহে। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, গত ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি নই। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা আরও ভাল খেলেছি। ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের হার ৯০%। বাংলাদেশ এই সিরিজে ফেভারিট কিনা এমন প্রশ্নে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘পরিসংখ্যান সব সময় এক থাকে না। আমি বলবো না যে, আমরা ফেভারিট, কিন্তু আমরা সিরিজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’
৮০-এর দশকে ওয়ানডে ক্রিকেটে চমক দেখায় ভারত।  ভারত জিতে নেয় ১৯৮৩’র বিশ্বকাপ শিরোপা। ৯০’র দশকের চমকটা পাকিস্তানের। অজি-কিউই মাটিতে ১৯৯২’র বিশ্বকাপ জিতে নেয় পাকিস্তান। ১৯৯৬’র বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে চমক দেখায় উপমহাদেশের অপর ক্রিকেট শক্তি শ্রীলঙ্কা। এবার ধারাবাহিকভাবে ভাল নৈপুণ্য দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। তাহলে পরবর্তী বিশ্বকাপ শিরোপা কি উঠবে টাইগারদের হাতে? হাথুরুসিংহে বলেন, ‘সময়ই বলে দেবে তা। এখনই এমন ভাবনাটা আগাম হয়ে যায়। আমাদের আপাতত সব চিন্তা পরের ম্যাচ নিয়ে।  আমরা এ মুহূর্তে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছি। তা যদি ম্যাচ কিংবা ট্রফি জেতার জন্য কার্যকরী হয় খারাপ কি?।’ ১৯৯৬’র বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে মাশরাফিবাহিনীর তুলনা করছেন বোদ্ধা বিশ্লেষকরা। তবে এখানেও লঙ্কান কোচ কোন তুলনায় গেলেন না। তিনি বলেন, দুই যুগের ভিন্ন দুই ক্রিকেট দলের মধ্যে তুলনা করাটা কঠিন । ১৯৯৬’র বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কা দলটি অনেক বেশি অভিজ্ঞ ছিল। আর এটা অনেক তরুণ দল। এই বাংলাদেশ দলের অনেক পথ পাড়ি দেয়ার আছে। কিন্তু একটা বিষয় আমি বলতে পারি যে এই দলে বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছেন। আর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টিকে কোচ হাথুরুসিংহে দেখছেন দলের ক্রমোন্নতির উদাহরণ হিসেবে। তিনি বলেন, এ সিরিজে ভারত শক্তিধর দল পাঠিয়েছে আর মাঠের নৈপুণ্যই বলে দিচ্ছে এই মুহূর্তে  আমরা কোন পর্যায়ে আছি। অবশ্যই আমরা দীর্ঘপথ পেরিয়ে এসেছি। আমি মনে করি, পূর্ণশক্তির ভারতের বিপক্ষে সাফল্যটা আমাদের ছেলেদের অনেক বড় অর্জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:৪১ অপরাহ্ণ | জুন ২১, ২০১৫