| বিকাল ৪:৩৬ - রবিবার - ২১শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পিতার মৃত্যু সনদ চেয়েছিল লাদেনের পুত্র

অনলাইন ডেস্ক,২০ জুন ২০১৫, শনিবার:

২০১১ সালের ২রা মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সীলের অভিযানে নিহত হয়েছিলেন বিশ্বের শীর্ষ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি চিঠির তথ্যানুযায়ী, লাদেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র আবদুল্লাহ বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পিতার মৃত্যু সনদ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সম্প্রতি সৌদি আরবের ৭০,০০০ গোপন নথি ফাঁস করে উইকিলিকস। নথিসমূহকে ‘সৌদি তারবার্তা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফাঁসকৃত নথির মধ্যে ওই চিঠিও একটি। সবমিলিয়ে, ৫ লাখেরও বেশি গোপন নথি ফাঁসের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে উইকিলিকস। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের মার্কিন দূতাবাস থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। শীর্ষ মার্কিন রাষ্ট্রদূত গ্লেন কেইজার চিঠিটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। ২০১১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, লাদেন নিহত হওয়ার ৪ মাস পর চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল লাদেনপুত্র আবদুল্লাহ বিন লাদেনের কাছে। আবদুল্লাহকে পাঠানো ওই চিঠিতে গ্লেন লিখেছিলেন, আপনার পিতা ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু-সনদের ব্যাপারে আপনার আবেদন আমি পেয়েছি। অবশ্য, পরে লাদেনের মৃত্যু-সনদ প্রদান করা হয়নি তার পুত্রের কাছে। সামরিক অভিযানে নিহতদের ক্ষেত্রে মৃত্যু-সনদ পাঠানো নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলে জানান গ্লেন কেইজার। এর পরিবর্তে আবদুল্লাহ বিন লাদেনকে তিনি মার্কিন আদালতের বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পাঠিয়েছেন। ওই নথিসমূহে লাদেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং মৃত্যুর কারণে তার বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ কর্মকা-ের সব অভিযোগ তুলে নেয়া হয়েছে। গ্লেন লিখেছিলেন, আমি আশা করি মার্কিন সরকারের এই নথিপত্রগুলো আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য সহায়ক হবে। সৌদি আরবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পরিবার হিসেবে সুনাম রয়েছে ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের। ১৯৯৪ সালে সৌদি আরব লাদেনের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:৩৪ অপরাহ্ণ | জুন ২০, ২০১৫