| বিকাল ৫:০৭ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রোজায় খাবার গ্রহণে সংযমী হওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের

অনলাইন ডেস্ক,১ ৯ জুন ২০১৫, শুক্রবার,

শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র মাস মাহে রমজান। রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহনে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। সংবাদ ভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সময় প্রচারিত প্রতিবেদনে তারা এ পরামর্শ দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। ঋতুচক্রে এবারের রোজায় তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে রোজাদারদের। আর তাই সুস্থ থেকে ইসলাম ধর্মের অবশ্য পালনীয় এই ইবাদত পালনে সতর্কতার সাথে খাবার খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের।

চলতি সপ্তাহেই শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। এই আষাঢ়ে হঠাৎ মেঘ আর ঝুম বৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই অনুভূত হয় ভ্যাপসা গরম। এর মধ্যেই এবারের রোজা। তীব্র গরমে প্রায় ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় অভুক্ত থাকতে হবে রোজাদারদের।

রোজা রেখে এই গরমে সুস্থ থাকতে তাই খাবার গ্রহণে সংযমী হওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের।

স্কয়ার হসপিটাল লিমিটেডের প্রধান পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দীকা বলেন, ‘ইফতারের খাবারে দই, চিড়া, ফলের শরবত থাকতে পারে। আর রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করা উচিত। রাতের খাবার খুব বেশি না হওয়াই ভালো। সেহরিতে সবজি, মাছ অথবা মাংসের একটা তরকারি থাকতে পারে।’

চিকিৎসকরাও বলছেন, ইফতারের পর বেশি করে পানি আর মৌসুমি ফল খাওয়ার পাশাপাশি বর্জন করতে হবে তেলে ভাজা খাবার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহ-অধ্যাপক ডা. মতলেবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানি কিছুটা ঘটতি দেখা দেবে। এজন্য সবার প্রতি আমাদের নির্দেশনা এবং অনুরোধ ইফতারের সময় বেশি পরিমাণ তরল খাবার খাওয়ার। বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেলে পেট ঠাণ্ডা থাকবে এবং হজমটা ভালো হবে। আমাদের দেশে প্রচলিত রীতি হলো ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া এই ধরনের খাবার থেকে যত বিরত থাকা যায় ততই ভালো’।

পরিমিত খাবার আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করলে এই গরমেও রোজা রেখে সুস্থ সম্ভব বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:১৪ অপরাহ্ণ | জুন ১৯, ২০১৫