| সকাল ৭:৫৫ - শনিবার - ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দরপত্র জমা দিল চার কোম্পানি

দেশের প্রথম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর জন্যের দরপত্র কিনেও শেষ পর্যন্ত লড়াই থেকে সরে গেল ভারত।

ভারতীয় কোম্পানি অ্যাট্রিক করপোরেশন শেষ পর্যন্ত দরপত্র জমা দেয়নি। জমা দেয়নি মার্কিন কোম্পানি বোয়িংও। তবে চারটি কোম্পানি বৃহস্পতিবার দরপত্র জমা দিয়েছে। দরপত্র জমাদানকারী কোম্পানিগুলো হল চীনের গ্রেটওয়াল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন, ফ্রান্সের থ্যালিস অ্যঅলিমা স্পেস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরবিটাল কেটিএ এবং কানাডার এমডিএ।

বৃহস্পতিবারই দরপত্রগুলো খুলে মূল্যায়নের জন্যে টেকনিক্যাল কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার থেকে টেকনিক্যাল মূল্যায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান এবং বিটিআরসি’র কমিশনার এটিএম মনিরুল আলম। এর আগে ভারত অনেক আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত তারা দরপত্র জমা না দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিটিআরসি’র কর্মকর্তারাও। এমন কি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ বিষয়টি নিয়ে বুধবারও বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের আগ্রহের কথা জানান।

এর আগে গত ৬ জুন দু’দিনের ঢাকা সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

গত বছর ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকার প্রকল্পটি সরকার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে (একনেক) পাস হয়।

প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজস্ব স্যাটেলাইট মহাকাশে ওড়ানোর উৎসব করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাণিজ্যিকভাবেও লাভজনক হবে বলে মনে করছে কমিশন। কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাত বছরের মধ্যে এটি ‘ব্রেক ইভেনে’ চলে আসবে এবং এর মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

বর্তমানে শুধু স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোর স্পেকট্রাম ভাড়া বাবদই বছরে দেড় কোটি ডলার বিদেশে চলে যায়।

স্যাটেলাইটটি রাশিয়ার ইন্টার স্পুটনিকের কাছ থেকে কেনা ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমায় ওড়ানো হবে এবং পরের দুটির জন্য ইতিমধ্যে অরবিটাল স্লট পেতে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ | জুন ১৯, ২০১৫