ধোবাউড়ায় শিক্ষকদের ভুল উত্তরে এসএসসি পরীক্ষার ফল বির্পযয়
ধোবাউড়া প্রতিনিধি: ১৭ জুন ২০১৫, বুধবার,
সারাদেশে এসএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। কিন’ ধোবাউড়ায় এসএসসি পরিক্ষায় ফলাফল ক্রমশ কমে যাচ্ছে। আর এ বির্পযয়ের নেপথ্যে দায়িত্বরত শিক্ষকদের ভূল উত্তর করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় পরিক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীদেরকে পদার্থ, রসায়ন ও গনিত বিষয়ে নৈর্বত্তিক উত্তর করে দিয়েছেন দায়িত্বরত শিক্ষকরা। আর এই উত্তর সম্পূর্ণ ভূল হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ছাত্রী। উল্লেখ্য যে ২০১৫ সালে এসএসসি সমমানের পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন। গত বছর পেয়েছিল ৩২ জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিপিএ-৫ এর কাছাকাছি ফলাফল করা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বলেন, আমরা নিশ্চিত জিপিএ-৫ পেতাম কিন’ স্যারেরা আমাদেরকে ভূল উত্তর করে দিয়েছে তাই পায়নি। এ বিষয়ে একজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষকরা এখন প্রশ্ন পাশ করে উত্তর করে দেয়। এবছর প্রশ্ন পাশ হয়নি তবুও তারা ভূল প্রশ্ন পাশ করে ভুল উত্তর করে দিয়ে সর্বনাশ করেছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ ফল বির্পযয়ের কারন হিসেবে দেখছেন শিক্ষকদের প্রাইভেট কোচিং বানিজ্যকে এবং অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া। কেউ কেউ জিপিএ-৫ পাওয়ানোর লক্ষে সকল বিষয়ে প্যাকেজ প্রাইভেট পড়াচ্ছেন আর অভিভাবকদের কাছ থেকে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। কিন’ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। স্কুলের প্রতি মনোযোগ কম দিয়ে এমন প্রাইভেট কোচিং বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক। ফল বির্পযয়ের ব্যাপারে ধোবাউড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন জেএসসিতে কোন জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রছাত্রী ছিলনা তাই ফলাফল ভাল হয়নি। কিন’ খোজ নিয়ে জানা যায় সিন্দুরা গ্রামের মুর্শিদাসহ কয়েকজন জিপিএ-৫ এবং টেলেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয় থেকে পরিক্ষা দেয়। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ:বাতেন কোন কথা বলতে চাননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান বলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির লোকজন দেখাশুনা করলে ফলাফল ভাল হতো।