| রাত ৮:১২ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কলমাকান্দায় কলেজ ছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভয়ে এলাকা ছাড়া

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : , ১৭ জুন ২০১৫, বুধবার,

নেত্রকোনার কলমাকান্দার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুট্টাকান্দা গ্রামের দরিদ্র ঠেলাগাড়ি চালক আবদুল খালেকের ছেলে কলমাকান্দা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহবুবুর রহমানকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছে স’ানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বাবুল ও তার লোকজন। এতে মাহবুবুর রহমানের বাম কান নষ্ট হয়ে যাবার পথে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাহবুবুর রহমান। প্রাণনাশের ভয়ে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যানের পক্ষে আজ বুধবার নাজিরপুরে মানববন্ধন হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান জানান, তার বাবা আবদুল খালেক আওয়ামী লীগ কর্মী দরিদ্র ঠেলাগাড়ি চালক। দারিদ্রতার কারনে স্কুলে পড়াকালীন সময় তিনি নাজিরপুর বাজারে কম্পিউটার ব্যবসা করতেন। ওই সময় স’ানীয় নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বাবুলের চাচাত ভাই মনিরের সাথে ব্যবসা সংক্রান- বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে গত ৫ জুন নাজিরপুর বাজার থেকে বাড়ি যাবার পথে চেয়ারম্যানের সহযোগি সিংপুর গ্রামের সাহান মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, হৃদয় মিয়া শামছু মিয়া, আবদুল মোতালেব তাকে ধরে নিয়ে যায়। সাহান মিয়ার বাড়ির কাটাল গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে মধ্যযোগীয় কায়দায় বেধরক মারপিট করে। পরে ওই দিনই ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বাবুল নিজে ফের মারপিট করেন। আটক থাকা অবস্থায় প্রাণভিক্ষা চেয়ে কলমাকান্দা থানার এসআই জামানকে জানানোর পরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ওই দিনই কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তিনি ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানানোতে তার বাবাকে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। প্রাণভয়ে ঘটনার পর থেকে তিনি ময়মনসিংহ ও জেলা শহরে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের আশ্রয়ে থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হামলাকারীদের বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বাবুলসহ ৯জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ দিকে চেয়রম্যান আবদুল কদ্দুস বাবুলের পক্ষে নাজিরপুর গতকাল বুধবার মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. বশির আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।  ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বাবুল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাহবুবুর রহমান এলাকায় চিহ্নিত চোর। সোলার চুরি করায় এলাকার লোকজন ধরে তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:২৯ অপরাহ্ণ | জুন ১৭, ২০১৫