| রাত ১০:৪৫ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিনা দোষে ৫ দিন হাজত বাস, মিথ্যা মামলার আসামী আরো ৩ ব্যক্তি

আজহারম্নল হক, গফরগাঁও, ১৩ জুন ২০১৫, শনিবার,
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আজিজুল হক (৬০) নামে এক বৃদ্ধ বিনা দোষে ৫দিন হাজত কেটে ময়মনসিংহ কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও মিথ্যা মামলায় আরো তিন ব্যাক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের মুক্তাপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার মুক্তাপাড়া গ্রামের সাজুদ্দিন ও আজিজুলের সাথে প্রতিবেশি হামিদ মিয়া ও তার সহোদর শহীদ মিয়ার জমি সংক্রানত্ম বিরোধ চলে আসছিল। এ জের ধরে গত ৩১ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এই মর্মে সাজুদ্দিন, আজিজুল, আনছারুল ও আসাদকে আসামী করে শহীদের বড় ভাই হামিদ বাদি হয়ে গফরগাঁও থানায় মালা দায়ের করেন।
দায়েরকৃত মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার ভাই শহীদকে আসামীরা কুপিয়ে আহত করার পর প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ৩১ মে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস’ার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ। বর্তমানে শহীদ সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩১ মে সন্ধা থেকে ৩জুন পর্যনত্ম শহীদ, পিতা মজিদ শেখ নামে মারামারি সংক্রানত্ম ঘটনায় গফরগাঁওয়ের কোন রোগী ভর্তি হয়নি।
গতকাল শনিবার ঘটনাস’লে গেলে, আসাদুজ্জামান, খায়রম্নল, কাশেম, নাজমুল গোলন্দাজ, জসিম উদ্দিন, তফাজ্জল হোসেনসহ আরো অনেকেই বলেন, গত ১০/১২ দিন যাবত শহীদকে বাড়িতেই ঘোরাফেরা করতে দেখছি। তাহলে সে আহতই বা হল কখন আর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তিই বা হল কখন। সুস’ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি থাকার তো কোন কারন দেখছি না। এ সময় উপসি’ত আরো বেশ কয়েকজন শহীদকে কুপানোর ঘটনাটি মিথ্যা বলে জানান।
অপরদিকে শহীদকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ২ নং আসামী আজিজুল হক গত বৃহসপ্রতিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৫দিন জেল কেটে ময়মনসিংহ কারাগার থেকে গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্ত হন। বাকি তিন আসামী সাজুদ্দিন, আনছারুল ও আসাদ গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়দা খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে মামলার ২নং আসামীকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানোর পর জানতে পারি আসলে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। অন্যকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা করায় বাদি হামিদ ও তার ছোট ভাই শহীদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ | জুন ১৩, ২০১৫