কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ১ সপ্তাহে ২ শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা, ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া
এইচ.এম জোবায়ের হোসাইন, ত্রিশাল, ১৩ জুন ২০১৫, শনিবার,
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবসি’ত জাতীয় কবি নজরম্নল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭দিনের ব্যবধানে দুই শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে। এ ঘটনায় এক দিকে যেমন পরিবারগুলোতে চলছে শোকের মাতম অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে কি কারনে মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে এ দুটি আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে জানা যায়নি।
নিহতের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার (৫ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিড়্গার্থী আজিজুন নেসা (লিয়া) নিজ বাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন। নিহত লিয়ার বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শোলাকিয়া গ্রামে। কি কারনে লিয়া আত্নহত্যা করেছেন এ বিষয়ে তার সহপাঠি বা পরিবারের কোন সদস্য তেমন কিছু বলতে পারেননি।
তবে নিহত আজিজুন লিয়ার নেসা লিয়ার পিতা মোঃ লুৎফুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন যাবত মানষিক যন্ত্রনায় ভোগছিল। কিন’ সে আমাদের ছেড়ে এভাবে চলে যাবে তা আমরা কখনো ভাবতেই পারিনি।
অপরদিকে লিয়া আত্নহত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গত মঙ্গলবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বারেক ছাত্রবাসে অবস’ানকালে নিজ রম্নমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিড়্গার্থী হিরণময় মলিস্নক। নিহত হিরণময় মলিস্নকের বাড়ী যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার কতুলিয়া গ্রামে। হিরণময় মলিস্নকের মৃত্যুর সংবাদে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
হিরণময় মলিস্নকের পিতা নারায়ন মলিস্নক জানান, হিরণ কি কারনে অভিমান করে আত্নহত্যা করলো তা আমরা কিছুই বলতে পারছিনা। শিড়্গা জীবনের শেষ পর্যায়ে এভাবে আমাদের ছেড়ে সে চলে যাবে এটা আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না।
অপরদিকে এক সপ্তাহে ৩দিনের ব্যবধানে দুই বিভাগের ৪র্থ বর্ষের দুই শিড়্গার্থীর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে নেমে এসছে শোকের ছায়া। আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকেও চলছে শোক, আলোচনা ও সমালোচনা। আর কোন শিড়্গার্থী যেন এভাবে অকাল প্রাণ না দেন সে জন্যও লেখা হয়েছে উপদেশ মূলক অনেক কথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিড়্গার্থীরা দাবী করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলিং এর ব্যবস’া না থাকায় একের পর এক আত্নহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। যদি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলিং ব্যবস’া থাকতো তবে হয়তো আত্নহত্যার মিছিল ক্যাম্পসে শুরম্ন হতো না। তাই শিড়্গার্থীরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলিং ব্যবস’ার জোর দাবী জানিয়েছেন।
জাতীয় কবি নজরম্নল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম জানান, আর কোন শিড়্গার্থ যেন এ ভাবে আত্নহত্যা না করে সে জন্য দ্রম্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলিং এর ব্যবস’া করা হবে।