| রাত ৩:২৯ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বৃষ্টির দাপটের মাঝেও ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৬২ রান

অনলাইন ডেস্ক, ১২ জুন ২০১৫, শুক্রবার,

 তৃতীয় দিনেও ফতুল্লা টেস্টে দাপট দেখিয়েছে বৃষ্টি। ফলে এদিন খেলা হয়েছে মাত্র ৪৭ দশমিক ৩ বল। তারপরও দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও মুরালি বিজয়ের জোড়া সেঞ্চুরি এবং আজিঙ্কা রাহানের নাভার্স নাইন্টিতে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৪৬২ রান করেছে সফরকারী ভারত। ধাওয়ান ১৭৩, বিজয় ১৫০ ও রাহানে ৯৮ রানে আউট হন। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৪টি ও জুবায়ের হোসেন ২টি উইকেট শিকার করেন।
নির্ধারিত সময়ের আগেই নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর নির্ধারিত সময় ছিলো সকাল ১০টা। তবে প্রবল বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ায় তৃতীয় দিনে সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরু করেন ম্যাচের দুই আম্পায়ার শ্রীলংকার কুমার ধর্মসেনা ও ইংল্যান্ডের নাইজেল লং।
টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৫৬ ওভারে বিনা উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিলো ভারত। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ধাওয়ান ১৫০ ও বিজয় ৮৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন। তৃতীয় দিনে খেলা শুরুর অষ্টম ওভারেই সেঞ্চুরির স্বাদ পান বিজয়। টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি।
অন্যপ্রান্তে ডাবল-সেঞ্চুরির পথেই হাঁটচ্ছিলেন ধাওয়ান। তবে ধাওয়ানের স্বপ্ন ভেঙ্গে স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্যের দেখা দেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফলে ব্যক্তিগত ১৭৩ রানে বিদায় নেন ধাওয়ান। আর বিজয়ের সাথে ধাওয়ানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে ২৮৩ রানে। সেই সাথে দেশের মাটিতে ১শতম উইকেট শিকার পূর্ণ করেন সাকিব।
প্রথম উইকেট নেয়ার সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতে খুব দ্রুতই স্বাগতিকদের দ্বিতীয় সাফল্যের স্বাদও দেন সাকিবই। তিন নম্বরে নামা রোহিত শর্মার উইকেট ভেঙ্গে ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান সাকিব। মাত্র ৬ রান করেন রোহিত।
রোহিতের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং শুরু করলেও, ধীরে ধীরে বাংলাদেশ স্পিনারদের ঘুর্ণিতে অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে থাকেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। ৭৫তম ওভারের শেষ বলে তার বহিঃপ্রকাশ ফুটে ২২ গজে। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনের অসাধারণ এক গুগলিতে হতভম্ব হয়ে যান কোহলি। ফলে বল গিয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। তাতেই ব্যক্তিগত ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন কোহলি।
২৮৩ থেকে ৩১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। সেখান থেকে দলকে আবারো খেলা ফেরানোর চেষ্টা করেন বিজয় ও ক্রিজে নতুন আসা ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানে। দ্রুত উইকেটে সেট হয়ে দলের স্কোর লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ৩৯৮ রানে নিয়ে যান তারা। এরমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির তুলে ফেলেন রাহানে।
লাঞ্চের পরই ১৫০ রানে সাকিবের তৃতীয় শিকার হন বিজয়। ফলে ভারতীয় ইনিংসটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব বর্তায় রাহানের উপর। ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ফলে সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় পৌঁছেও যান রাহানে। কিন্তু রাহানের সেঞ্চুরির পথে কাটা হয়ে দাঁড়ান সাকিব। বক্তিগত ৯৮ রানে থাকা রাহানের উইকেট উপড়ে ফেলেন সাকিব। মাঝে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাকে ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট করেছেন জুবায়ের। ফলে ৬ উইকেটে ৪৫৩ রানে পরিণত হয় ভারত।
এরপর সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধে দলের স্কোরে দ্রুত রান তোলায় মনোনিবেশ করেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও হরভজন সিং। জুটিতে ৯ রান যোগ হবার পরই আবারো শুরু হয় বৃষ্টির দাপট। আর তাতেই বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন ম্যাচের দুই আম্পায়ার। অশ্বিন ২ ও হরভজন ৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন । চতুর্থ দিনেও খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের আধা ঘন্টা আগে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে) :
ভারত প্রথম ইনিংস : ৪৬২/৬, ১০৩.৩ ওভার (শিখর ধাওয়ান ১৭৩, মুরালি বিজয় ১৫০, আজিঙ্কা রাহানে ৯৮, সাকিব আল হাসান ৪/১০৫, জুবায়ের হোসেন ২/১১৩)। (বাসস) :

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:১৪ অপরাহ্ণ | জুন ১২, ২০১৫