| বিকাল ৩:০১ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দুই বছরের মহার্ঘ ভাতা বাকির প্রতিবাদে মধুপুর রাবার জোনের ১ হাজার কর্মচারী বেতন নিচ্ছেনা

 

 সিরাজুল হক সরকার: ৬ জুন ২০১৫, শনিবার,

মধুপুর রাবার জোনের ৫টি রাবার বাগানের প্রায় এক হাজার শ্রমিক কর্মচারী দীর্ঘ দুই বছরেও সরকার ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলের অনুকুলে ২০ পার্সেন্ট বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাননি। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবীতে পুরো রাবার জোনের শ্রমিক কর্মচারীরা মে মাসের বেতন গ্রহণ করেনি। এতে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বকেয়া ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত বেতন গ্রহণ না করার পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাবার শ্রমিক কর্মচারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় মধুপুর রাবার জোনের অনত্মর্ভুক্ত কমলাপুর (টাঙ্গাইল), সন্তােষপুর (ময়মনসিংহ), চাঁদপুর, কর্ণঝড়া (শেরপুর), পীরগাছা (রংপুরের অংশসহ) ৫টি রাবার বাগানে প্রায় ১ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত। ২০১৩ সালে সরকার ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলের অনুকুলে ২০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করলেও দীর্ঘ ২৪ মাসেও তারা সে ভাতা পাননি। অন্যদিকে বাংলাদেশ চিনি কল, পাটকল, ইস্পাত, টেক্সটাইলসহ সরকারের ৪৭টি কর্পোরেশনে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা যথা নিয়মেই তাদের মহার্র্ঘ পাচ্ছেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন মজুরি কমিশনভুক্ত শ্রমিকরা ২০ভাগ মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে আগামী জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত নতুন জাতীয় স্কেলে বেতন পাবেন সরকারী শ্রমিক কর্মচারীরা অথচ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মচারী। গত ১৭ মার্চ ২০১৫ বন শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মধুপুর রাবার জোন পরিদর্শনে আসলে তিনি প্রতিটি বাগানের শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে তাদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে কথা বলেন এবং জানান তিনি ঢাকায় গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সমাধান করবেন। কিন’ তিন মাস পার হলেও শ্রমিকরা কোন ফলাফল পাননি। এদিকে মধুপুর রাবার জোনের তিনটি ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের নের্তৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে এক চিঠিতে জানান মে ২০১৫ মাসের বেতনের সাথে ২০ভাগ মহার্ঘ ভাতা এরিয়া বিলসহ না দেয়া হলে তারা বেতন গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। এব্যাপারে কমলাপুর রাবার বাগানের ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান দেশে ৪৭টি সেক্টর কর্পোরেশন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সমাধান দিতে পারতেন। তা না করাতে আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি সেক্টর কর্পোরেশন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে বিল নিতে হচ্ছে। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন গ্রহণ না করার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন। মধুপুর জোনের জিএম নওশের আলম ফারুকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ১৭মার্চ বনশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বাগান পরিদর্শনকালে মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। বিষটি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকার ঘোষিত মহার্ঘ ভাতা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আলোকে যথা সময় থেকে ভোগ করে আসছে তবে মজুরি কমিশনভুক্ত বিপুল পরিমান শ্রমিকগন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যথাযথ প্রজ্ঞাপন জারি না করায় উক্ত কমিশনভুক্ত শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন যাবত মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছে না। যা সুস্পষ্ট একটি বৈষম্য। এ বৈষম্য দূরিকরণ কল্পে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:২৯ অপরাহ্ণ | জুন ০৬, ২০১৫