| সকাল ৮:৫৫ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জে ভাবীর হাতে দেবর খুন : আটক ২

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি-০৪ জুন, বৃহস্পতিবার,
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাবীর হাতে দেবর (৩৫) খুন হয়েছেন। বুধবার সন্ধায় উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজান চরনওপাড়া গ্রামে প্রতিবেশীর মরিচ ক্ষেতে একটি বাছুর গাছ খেয়ে ফেলায় ওই খুনের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিদ্দিক আলী মারা যান। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজান চরনওপাড়া (মাঝের চর) গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে খোকন মিয়ার মরিচ ক্ষেতে ভাবী নাদিরা বেগমের একটি ছোট বাছুর কয়েকটি মরিচ গাছ খেয়ে ফেলে। নিহত সিদ্দিক আলীরও একই ধরনের বাছুর থাকায় ক্ষেত মালিক তাকে ডেকে বাছুরটি বেঁধে রাখতে বললে সিদ্দিক আলী বাছুরটি নাদিরা বেগমের বলে জানায়। এতে ভাবী নাদিরা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে দেবর সিদ্দিক আলীর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে নাদিরা বেগম ও তার মেয়ে আয়শা বেগম দা দিয়ে কুপিয়ে সিদ্দিক আলী ও তার স্ত্রী লিপি আক্তারকে মারাত্মক আহত করে। গুরম্নত্বর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিন রাতে সিদ্দিক আলী মারাযান। এ ঘটনায় ভাবী নাদিরা বেগম ও তার মেয়ে আয়শা বেগম কে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী আরো জানায়, নাদিরা বেগম ও তার স্বামীর অত্যাচারে একই এলাকা থেকে আরো ৮টি পরিবার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বাস করছে। তাদের অত্যাচারে এলাকা ছেড়েছে তোফাজ্জ্বল হোসেনের ৩ ছেলে মজিদ, সুলতান ও দুলাল। আবাল হোসেনের ৪ ছেলে ইয়াকুব আলী, আক্কাছ আলী, কদ্দুছ আলী ও শহীদ এবং গিয়াস উদ্দিনের ১ ছেলে বাচ্চু মিয়া দেশের অন্যত্র বাস করছে। বাড়ি ছেড়ে কেউ ঢাকায় কেউ গাজীপুরে কেউ মাওনায় আশ্রয় নিয়েছে। কদ্দুছ আলী ও স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে ছিলেন পাঁচ বছর আগে। পাঁচ বছর পর সিদ্দিক আলী খুন হয়েছে শুনে বাড়িতে এসেছেন বলে জানান তারা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দিন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই জন কে আটক করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে তিন জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। ##

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:০৮ অপরাহ্ণ | জুন ০৪, ২০১৫