| রাত ১২:৫১ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভাল প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশের ছবিতেও অভিনয় করবে দীপিকা

অন লাইন ডেস্ক,১ জুন ২০১৫, সোমবার:

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসে নিজের বিমোহিত সৌন্দর্যের মাধ্যমে মুগ্ধতা ছড়ালেন বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ‘লাক্স প্রেজেন্টস এ মেসমোরাইজিং ফ্রেগনেন্ট ইভিনিং উইথ দীপিকা পাড়ুকোন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকায় আসেন দীপিকা পাড়ুকোন। এদিন রাত ৮টায় রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির রাজদর্শন হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে লাক্স ক্যাম্পেইনে নির্বাচিত ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন দীপিকা। পারফরমেন্সের মাধ্যমে নয়, নিজের অসাধারণ উপস্থাপন এবং মোহনীয় সৌন্দর্য ও বুদ্ধিদীপ্ততার মধ্যে দিয়ে হলভর্তি ভক্ত-দর্শকদের মাঝে জাদু ছড়ান তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুটা ছিল বেশ চমৎকার। বাপ্পা মজুমদারের ‘বৃষ্টি পড়ে অঝর ধারায়’ গানটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাত ৮টার পর অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর মঞ্চে একে একে সংগীত পরিবেশন করেন পার্থ বড়ুয়া, কনা, জন ও জোহান। তাদের অনবদ্য পারফরমেন্সে মুগ্ধ হন দর্শক। এরপর মঞ্চে আসেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান। তিনি আসতেই করতালির বন্যা বয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থলে। তাহসান পুরো অনুষ্ঠানটি তার মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রাণবন্ত করে তোলেন। প্রথমেই তিনি দর্শকদের উদ্দেশে ‘আলো আলো’ গানটির কিছু অংশ পরিবেশন করেন খালি গলায়। তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান উপস্থিত দর্শকরাও। এরপর দেখানো হয় লাক্সের ৯০ বছরের পথচলার একটি প্রামাণ্যচিত্র। পরবর্তীকালে একে একে লাক্সতারকাসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় মডেলরা ফ্যাশন শোর কয়েকটি কিউতে অংশ নেন। এই কিউর মাঝে সবাইকে চমকে দিয়ে মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় লাক্সতারকা সাদিয়া ইসলাম মৌ, শমী কায়সার, ঈশিতা ও কুসুম শিকদার। ক্যাটওয়াকে অংশ নেন মৌসুমী হামিদ, মুমতাহিনা টয়াসহ অনেকেই। এরপর তাহসান মঞ্চে ডাকেন মৌ, শমী কায়সার, ঈশিতা ও কুসুম সিকদারকে। তারা লাক্সের মডেল হিসেবে কাজ করার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার কথা বলেন। ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ৯টা পেরিয়ে। তখনই উপস্থাপকের কাছ থেকে ঘোষণা এলো এবার দীপিকা আসছেন মঞ্চে। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের ‘দীপিকা’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো হল। অবশেষে মঞ্চে আলোআঁধারির খেলার মাঝে দীপিকার ছায়া দেখা গেল। ধীরে ধীরে সামনের দিকে আসতেই ছায়া হঠাৎই বদলে গেল এক অভূতপূর্ব সৌন্দর্যে। মনে হলো সৌন্দর্যের অপর নামই বুঝি দীপিকা। সাদারঙা কাজ করা গর্জিয়াস শাড়ি এবং ম্যাচিং করা অর্নামেন্ট ও সাজে দীপিকা মঞ্চে আসতেই করতালির মধ্য দিয়ে তাকে স্বাগত জানান দর্শক। দীপিকার ওপর যেন খোদ সৌন্দর্যদেবী ভর করেছিলেন। সাদার শুভ্রতা ছড়িয়ে মঞ্চে এসে হাত দুটো করজোড় করে সবার উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান দীপিকা। এরপর অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাহসান দীপিকা পাড়ুকোনকে দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলতে বলেন। দীপিকা পাড়ুকোন বলেন, দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের যে ভালবাসা পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি এখানে আসতে পেরে। আর ইউনিলিভার ও লাক্সকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আমাকে এ সফরের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আমি বাংলাদেশের ভালবাসায় মুগ্ধ। এতটা ওয়ার্ম ওয়েলকাম পাব ভাবিনি। বিশ্বাস করুন, আপনাদের এই ভালবাসার জন্যই আজ এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছি আমি। এদিকে দর্শকদের অনুরোধে বাংলা সংলাপ বলতে গিয়ে দীপিকা পাড়ুকোন বলেন, আমি একটা সংলাপই পারি। এটা আমার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পিকু’ ছবির। আর সেটি হলো ‘কিছু হবে না’। বাংলা গানের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এ পথ যদি না শেষ হয়’ গানটি ‘পিকু’ ছবিতে ছিল। আমার অনেক ভাল লাগে। এরপর তাহসান খালি গলায় ‘তুমি ছুঁয়ে দিলে মন’ গানটি গাইলে তাতে কিছুক্ষণ কোমর দোলান দীপিকা পাড়ুকোন। তিনি নাচিয়েছেন তাহসানকেও। দীপিকার অনুরোধে তাহসান তার ‘বালাম পিচকারি’ গানটিতে খানিক নাচতে বাধ্য হন। এরপর কয়েক ধাপে আগত লাক্সের ক্যাম্পেইনে নির্বাচিত কয়েকজন ভক্তকে স্টেজে ডাকা হয়। দীপিকা পাড়ুকোনকে সামনে পেয়ে অনেক ভক্তই আবেগে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অনেক ভক্তকে দীপিকাকে জড়িয়ে ধরেন। ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। কয়েকজন ভক্তের সঙ্গে আবার তিনি নেচেছেনও নিজের গানে। এরপর দীপিকা পাড়ুকোনের একটি করে গানে পারফর্ম করেন লাক্সতারকা মিম, মেহজাবিন ও শানু। দীপিকা পাড়ুকোন মঞ্চে বসে তাদের পারফরমেন্স উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শেষে নিজের বক্তব্যে দীপিকা পাড়ুকোন বলেন, বাংলাদেশের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ ও একই সঙ্গে কৃতজ্ঞ। আমি বারবার এখানে আসতে চাই। বিশেষ করে আমি ভেবেছি ছুটি নিয়ে এখানে আসব। যেন ঘুরে বেড়াতে পারি। ভাল প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশের ছবিতেও অভিনয় করবো। এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শনিবার রাতেই ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন দীপিকা পাড়ুকোন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:৩৯ অপরাহ্ণ | জুন ০১, ২০১৫