| সকাল ১০:০৮ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ কেন্দ্রে আধঘন্টা বিলম্বে ফটোকপি প্রশ্নপত্র দিয়ে নেয়া হলো এইচএসসি পরীক্ষা

 

সিম্মী আহাম্মেদ, কিশোরগঞ্জ, ৩১ মে ২০১৫, রবিবার:
কিশোরগঞ্জের গুরম্নদয়াল সরকারি কলেজে অন্য কলেজ থেকে ধার করে প্রশ্নপত্র এনে এর ফটোকপি দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে বাণিজ্য বিভাগের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন এবং বিকালে মানবিক বিভাগের সমাজকল্যাণ পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে দু’টি বিষয়ের পরীক্ষাায় ২৫ থেকে ৩০মিনিট বিলম্বে শুরম্ন ও শেষ হয়। এ ঘটনায় পরীক্ষাা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল হামিদকে শোকজ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ।
কলেজ সূত্র জানায়, আজ রবিবার সকাল ১০টায় এইচএসসির বাণিজ্য বিভাগের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন পরীক্ষা নেওয়ার সময় দেখা যায়, এ বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কলেজে আসেনি। পরে শহরের সরকারি মহিলা কলেজ থেকে প্রশ্ন এনে এর ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন বিষয়ের ১৯০ জন পরীক্ষার্থী ছিল। অন্য কলেজ থেকে প্রশ্ন আনা ও এর ফটোকপি করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ করতে সবমিলিয়ে আধাঘন্টা সময় নষ্ট হয়। ফলে সকাল ১০টার পরীক্ষা শুরম্ন হয় সাড়ে ১০টায়।
একইভাবে বিকালে মানবিক বিভাগের ২০১৩ সালের সমাজ কল্যাণ বিষয়ের প্রশ্নপত্র কলেজে না থাকায় অন্য কলেজ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে যথারীতি ফটোকপি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ বিষয়ের চারজন পরীক্ষার্থী ছিল। তবে ২০১৪ ও ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের সমাজকর্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোনো সমস্যা হয়নি।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ডিসি অফিসের ট্রেজারি শাখায় কলেজের পরীড়্গা কমিটি এইচএসসি পরীক্ষার সব প্রশ্নপত্র পরীক্ষার রম্নটিন অনুযায়ী সাজিয়ে রেখে আসে। আজ  রবিবার পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক, কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবদুল হামিদ ট্র্যাজারি থেকে আজকের (রবিবার) পরীক্ষা র প্রশ্নপত্র নিয়ে আসেন। কিন’ পরীক্ষার ঠিক আগে ঘটনাটি ধরা পড়ায় কলেজে এক ধরণের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ রাম চন্দ্র রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ধরণের ঘটনা অতীতে কোনো সময় ঘটেনি। এ গাফিলতির কারণে পরীড়্গা কমিটির আহ্বায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এ-ও বলেন, এমনও হতে পারে, ট্রেজারিতে প্রশ্নপত্র আছে ঠিকই, কিন’ তাড়াহুড়া করে আনতে গিয়ে ওই প্যাকেট দুটোই সেখানে ফেলে এসেছেন পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক। আর বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র না আসলে বিষয়টি আগেই ধরা পড়ত। তিনি জানান, আগামীকাল (সোমবার) কোনো পরীক্ষা না থাকলেও কলেজের পড়্গ থেকে ট্রেজারিতে গিয়ে বিষয়টি দেখা হবে। কী কারণে ঘটনাটি ঘটল তার অনুসন্ধান চালিয়ে পরবর্তী ব্যবস’া নেওয়া হবে। কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপড়্গের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ নিয়েই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা দেরিতে শুরম্ন হলেও পরীক্ষা র্থীদের তিন ঘন্টা সময়ই দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল হামিদ জানান, তিনিও ঠিক বলতে পারছেন কেন এমন হলো। ট্রেজারিতে গিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে না দেখা পর্যনত্ম এ বিষয়ে সঠিক কিছু বলা যাচ্ছে না।
কলেজ সূত্র জানায়, পরীক্ষার এক ঘন্টা আগে ট্রেজারি শাখার একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপসি’তিতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করা হয়। পরে বাকি প্রশ্নপত্রগুলো সিলগালা করে রেখে আসা হয়। কাজেই ট্রেজারি শাখা থেকে প্রশ্নপত্র গায়েব হওয়া সহজ নয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:২৫ অপরাহ্ণ | মে ৩১, ২০১৫