| সকাল ১০:১২ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাজিতপুরে ৩৭ বছর পর প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ

বাজিতপুর সংবাদদাতা ঃ  ৩১ মে ২০১৫, রবিবার:
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা- নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোসত্মফা, ৩৭ বছরের অবৈধ দখলদার সুলতান গংদের জায়গা থেকে উচ্ছে করে প্রকৃত জায়গার মালিক মো. আব্দুস ছাত্তার খান, আব্দুল মতিন খানের মোট ২ একর ৬৯ শতাংশ ভূমি দখলমুক্ত করেছেন। এসময় পৌর মেয়র এহেসান কুফিয়া, কৈলাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া, বাজিতপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজির মো. বিলস্নাল উদ্দিন, জারীকারক দেলোয়ার হোসেন, সরকারী আমিন আবুল বাশার, বাজিতপুর থানার এস.আই পরিতোষ সরকারসহ একদল পুলিশ উপসি’ত ছিলেন। ৩৭ বছরের অবৈধ দখলদার সুলতান গংদের জায়গা থেকে উচ্ছে করে প্রকৃত জায়গার মালিক মো. আব্দুস ছাত্তার খান, আব্দুল মতিন খানের ১০টি দাগের মোট ২ একর ৬৯ শতাংশ ভূমি দখলমুক্ত করেন।
জানা যায়, ১৯৮৫ সনের ৩০ মে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিবাদী উমেশ চন্দ্র গংদের দলিল দাতা পড়্গে সহকারী জজ আদালত বাদী আব্দুস ছাত্তার খান ও আব্দুল মতিন খানের পড়্গে ডিক্রী প্রদান করেন। এরই ভিত্তিতে হাইকোর্ট সিভিল ডিভিশনাল ডিভিশন মোকদ্দমা নং ৫০৮৭/১৯৯৫ মূলে আবারো তারা রায় পান। এই রায়ের পড়্গে গত ৮/২০১৪ পুনঃরায় রায় বহাল থাকে। এ ব্যাপারে বৈধ ২ মালিক মো. আব্দুস ছাত্তার খান ও আব্দুল মতিন খান সাংবাদিকদের আজ জানান- গত ৪ মাস আগে অবৈধ দখলকার মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে হাইকুল ও সাইকুল গংরা জোরপূর্বকভাবে ২ একর ৬৯ শতাংশ ভূমির মধ্যে ২.৪৫ শতাংশ ভূমিতে সাইবোর্ড টাঙ্গিয়ে নেন। তিনি বলেন- আজ রবিবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের সাকুল্য জমি উদ্ধার করে বুঝিয়ে দিয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, কৈলাগ ইউ.পি চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া আজ রবিবার দুপুরে জানান- হাইকোর্টের রায়কে তিনি সম্মান জানান এবং হাইকোর্টের রায়ে অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করে প্রকৃত মালিকদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ায় তিনি আইনকে শ্রদ্ধা নিবেদন জানান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:০৯ অপরাহ্ণ | মে ৩১, ২০১৫