| দুপুর ২:৫৯ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বেহাল দশা সড়কটি সংস্কারের দাবীতে অভিনব প্রতিবাদ, এবার সড়কে মাছ চাষ!

এইচ.এম জোবায়ের হোসাইন, ৩০ মে ২০১৫, শনিবার:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শহরে অবসি’ত জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলাম বিশ্ববিদ্যাল সড়কটি সংস্কারের দাবী জানিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কর্দমাক্ত ও গর্তে জমে থাকা পানিতে মাছ ছাড়ে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীও তাদের প্রতিবাদে একাত্বতা পোষণ করে।

জানাযায়, ত্রিশাল পৌর শহরের গো-হাটা মোড় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে নামাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় ভেঙ্গে ও বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। ফলে সড়কটি দিয়ে যান চলাচল একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করে।
বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার শুরম্ন থেকে শেষ পর্যনত্ম সড়ক টুকুর অবস্থা একেবারেই নাজুক। বড় বড় গর্ত আর কর্দামাক্ত অবস্থায় পায়ে হেটেও চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটির গর্তগুলোতে পানি জমে কর্দামাক্ত হয়ে গেছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিড়্গক আলজাবির জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য স্থানীয় লোকজন ও হাজার হাজার শিড়্গার্থী চলাচল করে। এটি সংস্কার হওয়া জুরম্নরী বলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ কর্মসূচীর সাথে আমরাও একাত্বতা পোষণ করেছি।
জানতে চাইলে ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ.বি.এম আনিছুজ্জামান আনিছ বলেন, পানি জমে থাকায় কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়েছে। ইনশালস্নাহ আগামী মাসেই দরপত্র আহবান করা হবে এবং দ্রম্নততম সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।
উলেস্নখ্য: সড়কটি সংস্কারের দাবীতে গত শুক্রবার এলাকাবাসী সড়কটিতে ধানের চারা রোপন করে ও কর্দামাক্ত সড়কে শুয়ে মানববন্ধন করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:০১ অপরাহ্ণ | মে ৩০, ২০১৫